পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কচ্ছের বুনো গাধা ।

ছবি
  কচ্ছের বুনো গাধা । বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।    কচ্ছের রণে বুনো গাধা দেখার জন্য খুব সকালে বেরিয়ে ছিলাম আমেদাবাদ থেকে । অনেকেই বলেছিলো গাধা দেখার কি আছে ? গাধা কি কখনো দেখনি ? একটা ইতর শ্রেণী জীব দেখার জন্য আর যাই হোক এতো দূর আসা যায় ? আমি তাদের বলি কেন রে ভাই সিংহ দেখতে কেনিয়া যাও কেন ? যুক্তি তক্কো গপ্পো যাই থাক না কেন আমি দেখতে যাব এমন এক জীবকে পৃথিবীতে আর কোথাও তাকে দেখা যায় না । যাদের দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মত বুদ্ধিটা আসলে গাধার মত !  করোনার পর এই প্রথম এলাম আমেদাবাদে । এক-চোখে কিছুই বুঝলাম না দু বছরে কতটা পাল্টে গেছে শহরটা । তবে একটা জিনিস পাল্টেছে ! কাটিং চা আর পাওয়া যায় না । করোনার ভয়ে এখন আর ডিশ ব্যবহার করা হয় না তার বদলে কাগজের কাপে চা দেয়া হচ্ছে । গুজরাটে ভোর হয় অনেক দেরিতে । বের হবার কথা সকাল ৮ টায় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি মনে হয় ভোর ৬ টা।আসলে তখনই সকাল ৮ টা ছুই ছুই । বড্ড দেরি হয়ে গেল । সবরমতি নদী যখন পার হলাম তখন ঘড়িতে নটা বাজে ।২০২১ ডিসেম্বর মাস শীতের কোন আদর গায়ে নেই গাড়িতে বসে মনে হচ্ছিল জানালাটা একটু খুলে দি,আশ্রম রোড থেকে সবরমতী বাতাস একটু বুকে লাগুক ।  ঢোকার গেট

সুন্দরবন

ছবি
বনের মধ্যে লুকানো বন  সুন্দরবন  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  ' মেঘলা দিনে দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে চিরকালীন ভালোবাসার বাঘ বেরুলো বনে ... আমি কাছে গেলাম, পাশে বসলাম,মুখে বললামঃ খা আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ ,নড়ে বসছে না । '   শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের বাঘ কবিতাটা পড়ে যাই সুন্দরবন যাবার আগে । ভাবি এবার তার দেখা পাবো । কিন্তু মা বনবিবির ইচ্ছে না থাকলে তো আর দেখা পাওয়া যায় না! বাঘ কিন্তু দেখতে অসাধারণ। প্রকৃতির মাঝে তার অসাধারণ রূপটাকে দেখবার লোভ  আমি সামলাতে পারিনা। সুন্দরবনের বাঘকে আমি নদীতে সাঁতার কাটতে দেখেছি। জঙ্গলের মধ্যে বসে থাকা অবস্থায় আমি দেখিনি পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র সুন্দরবনের বাঘই মানুষকে খায় । সুন্দরবনের বাঘকে  বলা হয় inborn man eater tiger। সুন্দরবনের এখন বাঘের সংখ্যা ৯৬। মনে করা হয়, সাইবেরীয় বাঘের পর বেঙ্গল টাইগার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপপ্রজাতি।  আমরা যখনই সুন্দরবনে যাই , অবচেতন মন বলে বাঘ দেখতে যাচ্ছি। সুন্দরবন কি শুধু বাঘ দেখার জায়গা? কী নেই সুন্দর বনে ।  সুন্দরবন যখন প্রথম সুন্দরবন যাই তখন সমস্ত লঞ্চ ছাড়তো  ক্যানিং থেকে। লঞ্চ মালিকরা জোয়ারের সময় সমস্ত লঞ্চ ঘাটের কাছে এন

ত্রিপুরা

ছবি
  তিন দিনের ত্রিপুরা  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  রাজা শব্দের সাথে একটা দ্যোতনা  কাজ করে। আমাদের সময় কোন রাজাকে আমরা দেখিনি কিন্তু রাজবাড়ী অনেক দেখেছি। ছোটবেলায় খুব ইচ্ছে ছিল রাজা দেখবার। পশ্চিমবঙ্গে বাস করে আমরা সকলেই মুর্শিদাবাদের সিরাজউদ্দৌলার বাড়ি কৃষ্ণনগরের গিয়ে আমরা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ি দেখেছি। রবীন্দ্রনাথের রাজর্ষি উপন্যাসটা পড়ার পর , পরবর্তী সময় বিসর্জন নাটক দেখেছিলাম সেটা রাজশ্রী একটা নাট্যাংশ। তখন মনে হয়েছিল এই মানিক্যদের একবার দেখার খুব ইচ্ছে গোবিন্দ মাণিক্য , বিক্রম মানিক্য এরকম ভাবে সেজে থাকেন ,  কি সিংহাসনে বসেন ? মানিক্যদের দেখতে গেলে যেতে হবে ত্রিপুরা। বিক্রম মানিক্য ১৯৪২ সালে ত্রিপুরায় বিমানবন্দর তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই সময় রাজা দেখার স্বপ্ন যা বিমান দেখার স্বপ্ন ও তাই ।  ভাবনায়  কোনদিনই ছিল না জীবনে বিমান চড়ার । রবীন্দ্রনাথের সাথে বিক্রম মানিক্যের একটা বিরাট সখ্যতা ছিল হয়তো রাজা বিমানের  টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিতেন রবীন্দ্রনাথ এসে  থাকতেন মালঞ্চের বাড়িতে।  প্রাসাদ  ছবি অমর রায়      সেই বিমানেই গেলাম ত্রিপুরা, কিন্তু রাজা দেখা হয়নি । যতবার ত্রিপুরা গেছি বারবার

ভূটান

ছবি
ভূটান কথা বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  হিমালয় নন্দিনী ভুটান । এই নন্দিনীকে দেখার জন্য এক দশক ধরে বাঙালি বহুবার ভুটানে গেছেন । করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন প্রায় সব ভ্রমণ বন্ধ । কিন্তু বাঙালির কাছে ভুটান যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আরো দু'বছর আগে । ভুটান সরকার চায় না অতিরিক্ত পর্যটক তাদের দেশে এসে দেশটাকে দূষণ ও অপরিচ্ছন্ন করে তুলুক । যার জন্য ভুটান তার বিদেশনীতিতে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ভুটানে প্রবেশের জন্য এমন একটা কর ধার্য করেছেন , তাতে বাঙালির নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে । দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে ভিসার জন্য মনে হয় এত টাকা লাগেনা।  আমি ভুটানের বিদেশনীতি নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না । সেটা তাদের দেশ । তাদের ভাবনা । কিন্তু পারো থিম্পু হা ভ্যালি বাঙালি পর্যটকদের বড় প্রিয় জায়গা ছিল । একদিকে হিমালয় নন্দিনী অন্যদিকে বিদেশ ভ্রমণ এই দুই আকর্ষণে বাঙালি বারবার ছুটে গেছে ভুটানে । ডুয়ার্স কথাটা এসেছে মনে হয় ভুটানকে কেন্দ্র করেই । উত্তরবঙ্গের কতগুলো দরজা দিয়ে ভুটানে যাওয়া যায় তাকে কেন্দ্র করেই ডুয়ার্স ।  আজ আমরা ঝাঁ-চকচকে রাস্তা দিয়ে ভুটানের প্রবেশ করি । একসময় কি ছিল এই ভুটানে ? না ছিল রাস্তা , না ছিল গ

রুদ্রপ্রয়াগ

ছবি
  সুর ও স্বরের মিলনক্ষেত্র রুদ্রপ্রয়াগ  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥  যদি আমি বলি সূর আর স্বরের মিলনক্ষেত্র রুদ্রপ্রয়াগ ; তা হলে সকলেই আমাকে ধমক দেবেন । কেন ? আসলে ওটা তো মন্দাকিনী - অলকানন্দার মিলনস্থল । পঞ্চ প্রয়াগের একটি প্রয়াগ । সেখানে সুর আর স্বরের প্রবেশ ঘটলো কি করে ? ছন্দকে যে ভাবে ভাঙ্গা যায় সেভাবেই ভেঙে একটু বলি । রাগরাগিণীর সৃষ্টিকর্তা নারদ । ছয় রাগ  ছত্রিশ  রাগিনীকে তিনি সৃষ্টি করেন  । নানান শব্দে নারদ সকলকে অহংকারের  নিজস্ব রূপটাকে প্রকাশ করলেন । শিবের কাছে গেলেন , শিব তার অহংকার দেখে অভিশাপ দিয়ে রাগারাগিনী দের ধ্বংস করলেন ।  রুদ্রপ্রয়াগ । ছবি তাপস কুমার দত্ত  সৃষ্টির মৃত্যু ঘটলে নারদ ভেঙে পড়লেন । নটরাজের কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করলেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য । নটরাজ বললেন যাও,অলকানন্দা ও মন্দাকিনী সঙ্গমস্থলে গিয়ে তপস্যা করো কয়েক বছর ,তারপর ফিরে পাবে তাদের । আর সেটাই করলেন নারদ মুনি । সূর আর স্বরের মিলন ঘটলো রুদ্রপ্রয়াগে । প্রথমে বাঁচিয়ে তুললেন রাগদের । নারদ সংহিতায় বর্ণনা আছে, ছয় রাগ এবং ছত্রিশ রাগিণীর । রাগের চলন এবং তার অভিব্যক্তির উপর নির্ভর করেই,পুরুষ অর্থে

তুঙ্গনাথ

ছবি
  তুঙ্গনাথের পথে বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁরা কি জানে সে কি চায় ? তাঁরা  জানতো বলেই হয়তো অনেক কিছুই পেয়েছে । চাওয়া আর পাওয়ারা  মধ্যে একটা টান আছে । তবে বিশালতাকে ধরার জন্য যে টান দরকার তা আমার মধ্যে উপলব্ধিতে আছে,  ধরার ক্ষমতা নেই । টান আছে বলেই আমায় টেনে নিয়ে গেছেন । ধুতি পড়া একজন বাঙালি মানুষ । টুক টুক করে হেঁটে চলেছেন দোগলভিটার রাস্তায় । বাড়িটা তিনি  এখানেই করেছিলেন হিমালয়কে আরো নিবিড় ভাবে দেখার জন্য । ছোট বেলায় এই মানুষটার স্বপ্ন  দেখতাম । তিনি দোগলভিটার রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছেন , ওটা  চৌখাম্বা। পাশে শিবলিঙ্গ এই ভাবেই স্বপ্নে আমায় দেখাতেন ।  সেই মানুষটার নাম উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।হিমালয়ের পথে পথে পড়ে পড়ে মুখস্ত করে ফেলেছিলাম।সেটাই মনে মনে সারাদিন ভাবতাম আর সেটাই স্বপ্নে দেখতাম ।  হিমালয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল পাঁচ বছর বয়েসে । আর  হিমালয়কে হাতে ধরে আমায় চিনিয়ে ছিলেন আরো এক ধুতি পড়া মানুষ তাঁর নাম নিমাই অধিকারী । তিনি ছিলেন আমার বাবার বন্ধু ।  ছোট বেলায় লাইব্রেরীতে  আমাদের বেছে বেছে বই দিতেন। সেই মানুষটিই আমায় হিমালয় চিনিয়ে ছিলেন ।হিমালয়ের  কত অচেনা জায়গায় নিয়ে গেছেন । কি ভাবে দেখতে

লাল কাঁকড়া বীচ

ছবি
  লাল কাঁকড়ার ঘরে  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥ মন্দারমণি যাবার জন্য চাউল খোলা মোড়ের কাছে  দাঁড়িয়ে আছি । দীঘার থেকে প্রায় ২৪ ,কিমি আগে এই মোড়ে দাঁড়িয়ে পুজোর কটাদিন দেখলাম কী হারে গাড়ি যাচ্ছে আর আসছে । আমার অবশ্য মন্দারমণি যাবার ইচ্ছে নেই, কাছে পিঠে  যদি একটা নিরিবিলি বীচ পাওয়া যায় তা হলে নিজের সাথে নিজের একটু কথা বলা যায় ।কী কথাই বলবো । বাড়ি ফিরে মনে হবে বেশি কথা হলো ।লোকে বলবে মূর্খ বড়ো সামজিক নয় । কোথায় যাই? একজন বলেছিলো লাল কাঁকড়া বীচ গেলে আপনি একা থাকতে পারবেন । আমি মনকে বললাম চলো নিজ নিকেতনে । ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্য নিভে যাচ্ছে  চাউল খোলা থেকে একটা অটো নিলাম। ২০০ টাকা দিয়ে। মাত্র ৯ কিমি রাস্তা ২০০ টাকা! অগত্যা মধুসূদন ! ভাবি আমাদের গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি ।  মেদিনীপুরের লাল মাটি রূপ এখানে নেই। রাস্তার দুই ধারে পুকুরে  হাঁস চই চই । রোদে শুকাতে দেয়া হয়েছে শুটকি মাছ । মোড়ের মাথায় বাগদা আর গলদা চিংড়ির দোকান । এক জায়গায় লেখা রয়েছে বিভিন্ন রকম কাঁকড়া পাওয়া যায় । আমি তো সেভাবে ভেরি দেখতে পাচ্ছি না । ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই প্রকৃতি একটু পাল্টাতে শুরু করলো । একটা সমুদ্র সমুদ্র পরিবেশ

বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি
  বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়    গঙ্গার তীরে যদি শহর সে শহর তো সৌভাগ্যের শহর হবেই । মাটির একটা নিজস্ব গুণ থাকবেই । আমি পুজোর পর যে শহরে এসেছি তার নাম ভাগলপুর বিহারের একটি জেলা। ভাগলপুরকে বলা হয় সৌভাগ্যের শহর। সত্যিই আমার সৌভাগ্য যে আমি এই সৌভাগ্যের শহরে এসেচি । না এলে জানতেই পারতাম না এতো কিছু দেখার আছে । এক যাত্রায় দেখে নেওয়া যায় পাহাড়, জঙ্গল , নদী, ইতিহাস, মাইথলজি ।  মহাভারতের সময় গঙ্গার তীরে বুড়ানাথের প্রাচীন মন্দিরে পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের সময়ে এই মন্দিরে কিছু দিন অতিবাহিত করেছেন । ভাগলপুর জৈনদের পরম তীর্থ ক্ষেত্র । এই শহরে জন্ম গ্রহন করেন ১২ তম জৈন তীর্থঙ্কর বাসু পূজ। আমার চারদিন থাকার ভাবনা ভাগলপুরে । তারমধ্যে একদিন যাব প্রাচীন বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে । একদিন যাব মাইথলজির পথ ধরে মন্দার পর্বতে । বিক্রমশিলা খননকার্য পড়ে পাওয়া স্তুপ  বিহার ছিল এক সময় সংস্কৃতি ও শিক্ষার মূল পীঠস্থান ।বুদ্ধদেবের ধর্মীয় অনুরাগীরা বা পৃষ্ঠপোষক শিক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিলেন বিহারকে । প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় । বৌদ্ধ সংস্কৃতির পীঠস্থান । সেটা তৈরি হয়েছিল আজ থে

পুরুলিয়ায় দু'দিনের ভ্রমণ

ছবি
অচেনা পুরুলিয়ায়  দু'দিনের ভ্রমণ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়। একেই বলে রুচির সমগ্রতা ।একজন এসে  আমায় বললেন পুরুলিয়া যাচ্ছেন ? আমি বললাম হ্যা । তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছেন পুরুলিয়ার? আমি কিছু বলার আগেই তিনি বললেন পাখি পাহাড়,মুরগুমা ,আপার ড্যাম ,লোয়ার ড্যাম , সব দেখে আসবেন, খুব ভালো লাগবে । আমি আর কিছু বলতে পারলাম না । তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলাম । আমি যাচ্ছি নিস্তব্ধতার তরঙ্গে । কি করে তোকে বোঝাই আমি কিছুই দেখতে যাচ্ছি না । আমি যাচ্ছি নিজের সাথে কথা বলতে ।  পুরুলিয়ার সুন্দরবন  আকাশ জুড়ে আঁকাবাঁকা রঙিন আলোর রেখা ।আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে আসছে । একটু আগেই ঝমঝম করে বৃষ্টি হয়েছে রঘুনাথপুরে । জয়চন্ডী পাহাড় পেরিয়ে লেভেল ক্রসিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি । আরেকটু গেলেই আদ্রা  রেলওয়ে স্টেশন । সেখান থেকে যেতে হবে আমাদের কাশীপুরে । কাশিপুর রাজবাড়ি সকলের খুব পরিচিত জায়গা । এখান থেকে আরও ৭ কিলোমিটার যেতে হবে আমাদের । দ্বারকেশ্বর নদীর ব্রিজ পেরিয়ে যখন যাচ্ছি অন্ধকার নেমে এসেছে,কিন্তু কাশ ফুলের সাদা দোলা দেখা যাচ্ছে । আমরা যাচ্ছি রঞ্জনডি লেকে। যখন পৌঁছলাম ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতট

লায়ন সিটি : সিঙ্গাপুর

ছবি
  লায়ন সিটি : সিঙ্গাপুর বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । সিঙ্গাপুর নামটা শুনলেই আমার মনটা ভয়ে গুটিয়ে যায় । আবার আনন্দ ও হয় । প্রথমবার সিঙ্গাপুরে গিয়ে আমার এক পিসিকে সিঙ্গাপুর বিমান বন্দরে হারিয়ে ফেলেছিলাম । ৮ ঘন্টা এয়ারপোর্টে বসে থাকার পর , তাকে খুঁজে পাওয়া গেল , আমাদেরই বুক করা হোটেলে গিয়ে । তিনি এয়ারপোর্টে  পথ হারিয়ে কাউকে না জানিয়ে একাই চলে গিয়ে ছিলেন হোটেলে । সে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ৮ ঘন্টা আমার সময় কেটেছে । সুখের কথা আবার পরের বার আমার হারিয়ে যাওয়া থাইল্যান্ডের বান্ধবী জুলিকে খুঁজে পেয়েছিলাম এই সিঙ্গাপুরের বাসস্ট্যান্ডে । সেও এক পরম প্রাপ্তি ।  সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান  ছোট্ট একটা দেশ সিঙ্গাপুর । অসম্ভব সময়ানুবর্তিতা । সুশৃংখল একটি দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে এই দেশটাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি প্রফেশনাল। কঠিন ইংরেজি বলে । লন্ডনে গিয়ে দেখেছি ব্রিটিশরা ও এত শক্ত ইংরেজি বলে না । সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গিয়ে সময় নিয়ে বাঙালির যে কি লেজে গোবরে অবস্থা হয় তার প্রমান আমি অনেকবার পেয়েছি । গাড়ি যদি সকাল সাত টায় রওনা হয় , হোটেলে সে গাড়ি চলে আসে সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে ।