ত্রিপুরা

 তিন দিনের ত্রিপুরা 

বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । 

রাজা শব্দের সাথে একটা দ্যোতনা  কাজ করে। আমাদের সময় কোন রাজাকে আমরা দেখিনি কিন্তু রাজবাড়ী অনেক দেখেছি। ছোটবেলায় খুব ইচ্ছে ছিল রাজা দেখবার। পশ্চিমবঙ্গে বাস করে আমরা সকলেই মুর্শিদাবাদের সিরাজউদ্দৌলার বাড়ি কৃষ্ণনগরের গিয়ে আমরা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ি দেখেছি। রবীন্দ্রনাথের রাজর্ষি উপন্যাসটা পড়ার পর , পরবর্তী সময় বিসর্জন নাটক দেখেছিলাম সেটা রাজশ্রী একটা নাট্যাংশ। তখন মনে হয়েছিল এই মানিক্যদের একবার দেখার খুব ইচ্ছে গোবিন্দ মাণিক্য , বিক্রম মানিক্য এরকম ভাবে সেজে থাকেন ,  কি সিংহাসনে বসেন ? মানিক্যদের দেখতে গেলে যেতে হবে ত্রিপুরা। বিক্রম মানিক্য ১৯৪২ সালে ত্রিপুরায় বিমানবন্দর তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই সময় রাজা দেখার স্বপ্ন যা বিমান দেখার স্বপ্ন ও তাই ।  ভাবনায়  কোনদিনই ছিল না জীবনে বিমান চড়ার । রবীন্দ্রনাথের সাথে বিক্রম মানিক্যের একটা বিরাট সখ্যতা ছিল হয়তো রাজা বিমানের  টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিতেন রবীন্দ্রনাথ এসে  থাকতেন মালঞ্চের বাড়িতে। 

প্রাসাদ  ছবি অমর রায়

     সেই বিমানেই গেলাম ত্রিপুরা, কিন্তু রাজা দেখা হয়নি । যতবার ত্রিপুরা গেছি বারবার মনে হয়েছে রাজা দেখতে পাবো । বা এবার গিয়ে শচীন দেব বর্মনের বাড়িটা দেখে আসব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মালঞ্চ বাড়িটা দেখবার জন্যে কি কুকুর তারা না -ই খেয়েছি! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মালঞ্চ বাড়িটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম দেখি একটা ভুতুড়ে বাড়ির মত দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটি । কোনরকম বেড়া টপকে যখন রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে ঢুকেছি সেই ভুতুড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো চার পাচ টা কুকুর । এসে ঝাঁপিয়ে পরলো আমার ওপর। থাক সেকথা । এ কদিন আগে শুনলাম বাড়িটাকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পর্যটকদের জন্য । 

ত্রিপুরা যাওয়ার আগেই ত্রিপুরার জায়গাগুলোর নাম শুনলেই একটা রোমান্টিক রোমান্টিক লাগে নিজের ভেতরে। জম্পাই হিল ,ঊনকোটি, খোয়াই , সিপাহীজলা , নীরমহল,  উদয়পুর । মোটামুটি ৬ দিন হাতে থাকলে একটা গাড়ি করে নিলে সবটাই ঘুরে নেওয়া যায় । 

রুদ্র সাগর লেক। ছবি মানস বিকাশ ভদ্র

রাজধানী আগরতলা এসে একটা হোটেলে উঠলাম । জায়গাটার নাম বটতলা । আশে পাশে অনেক হোটেল আছে । তবে খাওয়াটা খু্ব আমার কাছে সুখপদ হয়নি ।এ তো দেখছি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংস্করণ। আর হবেই বা না  কেন ? সামনেই বাংলাদেশ বর্ডার । বিকেলে আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের প্যারেড দেখতে গেলাম। বর্ডারের ওপারে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ওয়াগা বর্ডারের অনুকরণে করা হয়েছে। বেশ ভালোই লাগে দেখতে । 

 নীর মহল॥ ছবি মানস বিকাশ ভদ্র

ত্রিপুরার একপাশে বাংলাদেশ, মাথায় রয়েছে অসম, আর ডান দিকে রয়েছে মিজোরাম। ত্রিপুরার আগরতলার  চারপাশটা বাংলাদেশের কালচার আর পাহাড়ের দিকে কিছুটা মিজোরাম কালচার আর কিছুটা রয়েছে মিক্সড অসমীয় কালচার। ত্রিপুরার কসবা হাটে (মৈত্রী হাট)গেলে কখনও  আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনি ভারতে আছেন না বাংলাদেশে আছেন । কসবা কালী বাড়ি যখন ঘুরছি দেখি বাংলাদেশের ট্রেন যাচ্ছে । প্রতি রোববার সকাল থেকেই হাট বসে । আপনিও ঢুকে পড়তে পারেন এই হাটে শুধুমাত্র আপনার আইডেন্টি কার্ড টা জমা রেখে ওরা একটা পাস ইস্যু করবে। 

ত্রিপুরা রাজ্যে ধর্মপ্রাণ মানুষের সংখ্যাই বেশি । হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে আছেন। রাজা যেহেতু হিন্দু ছিলেন , যার জন্য হিন্দুর সংখ্যা বেশি । যার জন্য নাম হয়েছে ত্রিপুরা সেই ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা ধন্যমাণিক্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দিরটি মাতাবাড়ি নামেই বেশি পরিচিত।  কচ্ছপ আকৃতির এক অনুচ্চ টিলার উপরে অবস্থান এই মন্দিরের। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ এই ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে । আটচালা আকৃতির লালরঙা মন্দিরটির শীর্ষে রয়েছে স্তূপ, আর তারও উপরে রয়েছে কলস। কথিত আছে, সতীর ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ পড়েছিল এখানে। মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী (কালীমূর্তি) মূর্তিটি কষ্ঠিপাথরের। ধন্যমাণিক্যর পরবর্তীকালে রাজা কল্যাণমাণিক্য মন্দিরের পিছনে একটি দিঘি খনন করান, যা তাঁর নামেই কল্যাণসাগর বলে খ্যাত হয়। দিঘি খননের সময় মাটির ভিতর থেকে আর একটি মূর্তি পাওয়া যায়। এখানকার প্যাঁড়া খুব বিখ্যাত তার স্বাদের জন্য। 

 মাতা বাড়ি॥ ছবি মানস বিকাশ ভদ্র

দক্ষিণ ত্রিপুরার পিলাক এক ঐতিহাসিক স্থান। বৌদ্ধ ও হিন্দু স্থাপত্যের অনেক বিস্ময়কর নির্দশন পাওয়া গিয়েছে পিলাক ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে। আগরতলা থেকে দূরত্ব ১১৪ কিলোমিটার। প্রাচীন মন্দিরগুলির ধ্বংসাবশেষগুলিও যথেষ্ট নজরকাড়া। এখান থেকেই পাওয়া গিয়েছিল নবম শতাব্দীর ‘অবলোকিতেশ্বর’ ও দ্বাদশ শতাব্দীর ‘নরসিংহ’-র বিশাল মূর্তিগুলি। এই মূর্তিগুলি বর্তমানে আগরতলার সরকারি মিউজিয়ামে রাখা আছে। । 

নীর মহল দেখবো, কিন্তু উল্টো রাস্তা । চালক সাহেব বল্লেন । ওখানে গিয়েই খাবেন । তাই হবে । নৌকা করে গেলাম নীর মহল দেখতে । লোক না হলে নৌকা ছাড়বে না ।বসে আছি মেলাঘরে । আগরতলা থেকে ৫১ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত জনপদটির নাম মেলাঘর। মেলাঘরের দুই কিলোমিটার দূরেই অবস্থান নীরমহলের। বিশাল রুদ্রসাগর সরোবরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে আছে অপূর্ব এই রাজপ্রাসাদ। মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ শুরু করান এই সুদৃশ্য প্রাসাদটির। প্রাসাদের স্থাপত্যে মুঘল শৈলীর প্রভাব যথেষ্টই বোঝা যায়। নির্মাণকার্য শেষ হতে সময় লেগেছিল প্রায় আট বছর।

১২২ মিটার লম্বা কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে দুধ-সাদা রঙের প্রাসাদে রয়েছে সব মিলিয়ে ২৪টি কক্ষ, যাকে ঘিরে রয়েছে সুন্দর বাগান। প্রাসাদের গম্বুজ আকৃতির মিনারগুলি, বিরাট ‘দরবার কক্ষ’, রাজা-রানির বিশ্রামকক্ষ,সুউচ্চ নজরমিনার ।  রুদ্রসাগরের পাড় থেকে জলের মধ্যে থাকা নীরমহলকে দেখে রাজস্থানের উদয়পুরের লেক-প্যালেস ‘জগনিবাস’-এর (পিছোলা লেকের উপর অবস্থিত) কথা মনে পড়বে। রুদ্রসাগর লেকের জলেও পড়ে নীরমহলের প্রতিবিম্ব। ৫.৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রুদ্রসাগর সরোবর বিভিন্ন ধরনের পাখির (বিশেষত পরিযায়ী) জলকেলির এক নিরাপদ ঠাঁই। নীরমহলের প্রশস্ত ছাদ থেকেও রুদ্রসাগরের এক দারুণ দৃশ্য চোখে পড়ে। ভেতরে কিছুই নেই । তবে জলের ভেতর রাজপ্রসাদ ঘুরতে এবং দেখতে অসাধারণ লাগে।  মধ্যযুগে ত্রিপুরার রাজাদের রাজধানীও ছিল এই উদয়পুর। সে সময় রাঙামাটি নামেই পরিচিত ছিল এই জায়গাটি। রাজস্থানের উদয়পুরের মতোই ত্রিপুরার উদয়পুরকেও ‘লেক সিটি’ বলাই হয় ।  সুখসাগর, অমরসাগর, জগন্নাথ দিঘি, মহাদেব দিঘি ইত্যাদি সুদৃশ্য জলাশয় সৌন্দর্য বাড়িয়েছে উদয়পুরের। আবার মন্দির-নগরীও বলা যেতে পারে উদয়পুরকে।  ফেরার সময় সিপাহী জলা  অভয়ারণ্য টি ঘুরে নিলাম। খুব সুন্দর লাগলো অভয়ারণ্য টা। এখানেই আমি প্রথম দেখেছিলাম চশমাওয়া বাঁদর   । প্রজাতির বাঁদর খুব বিরল। দেখতে খুবই সুন্দর এই প্রাণীটির দিকে তাকালে মনে হয় সে চশমা পরে আছে তাই তার এই নামকরণ। জঙ্গলের ভেতরে লেকে বোটিং করাও যায়। 

          একটা সুন্দর নদী আমাদের সাথে অনেক বার ঘুরেছে । নদীটির নাম লঙ্গাই নদী  ত্রিপুরা ও আসামের একটি নদী। এটি মুলত বরাক নদীর উপনদী। এর উৎপত্তি ত্রিপুরার জাম্পুই পাহাড়ে। সেখান থেকে প্রবাহিত হয়ে করিমগঞ্জ হয়ে পরে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ যাত্রায় আমি জাম্পুই পাহাড়ে আর ঊনকোটি যাবো না। হাতে আমার তিন দিন সময় । এর মধ্যই যা দেখার দেখে নিতে হবে।  হয়েও যায় সুন্দর ভাবেই । 

এবার দেখবো রাজ বাড়ি । উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় আধা মাইল এলাকাজুড়ে দ্বিতল এই প্রাসাদটি অবস্থিত। মিশ্র স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রাসাদটির তিনটি গম্বুজ ঘিরে রয়েছে মুঘল আমলের খাঁজকাটা নকশা যার মাঝেরটি ৮৬ ফুট উঁচু। ১৮৯৯ সালে এই সুদৃশ্য ও মনোরম প্রাসাদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯০১ সালে। ওই সময়ই এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ১০ লাখ টাকা । মহারাজা রাধা কিশোর মানিক্য বাহাদুর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা। প্রাসাদের দু’পাশে দুটি দীঘি। দীঘির পাড়ে গাছের সাজানো অরণ্য। প্রাসাদের প্রবেশ পথের ঠিক মাঝখানে রয়েছে ফোয়ারা আর ভাস্কর্যসমৃদ্ধ একটি চমৎকার বাগান। প্রাসাদের ভেতরে সারি সারি কক্ষ। এগুলোর প্রতিটির রয়েছে আলাদা আলাদা নাম- শ্বেতমহল, লালমহল, সদর বাড়ি, তহবিল খানা, আরাম ঘর, পান্থশালা প্রভৃতি। এই প্রাসাদের নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভবনটিতে এখন ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিছু সরকারি অফিসও আছে সেখানে।

বাংলাদেশসীমান্তে॥ ছবি অমর রায়

উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের একটু দূরে  উত্তরদিকে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্যের তৈরি  (১৯০৯ থেকে ১৯২৩ সালে) ছবির মতো সুন্দর কুঞ্জবন প্রাসাদ হচ্ছে আগরতলার আরেকটি চমৎকার স্থাপত্যকর্ম। এ প্রাসাদটি আসলে তৈরি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহারাজা এবং তাদের অতিথিদের অবকাশ যাপন ও নির্জনবাসের জন্য। ১৯২৬ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগরতলায় তার সপ্তম ও শেষ সফরে কুঞ্জবন প্রাসাদের পূর্বদিকের অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন ।এর সঙ্গে সংযুক্ত গোলাকার বারান্দার শেষ সীমানা থেকে বড়মুড়া পাহাড়ের দূরবর্তী দৃশ্য দেখা যায়। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার প্রাসাদটি অধিগ্রহণ করার পর এখন এটি রাজ্যপালের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কুঞ্জবন প্রাসাদের উত্তর-পূর্বদিকেই রয়েছে বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং মানিক্য শাসনামলের ত্রিপুরা রাজাদের বিশ্রামাগার মালঞ্চ নিবাস। এই অঞ্চলে এত মন্দির যে সব ঘুরে দেখা যায় না। কাল সকাল বেলা আমার বিমান। সকাল বেলার ব্রেকফাস্ট টা হোটেলেই খাবো। বাড়িতে গিয়ে ভাত টা খাবো ৪৫ মিনিট তো লাগে কলকাতা আসতে । ডিশের ওপরে এক টুকরো মাংস দিয়ে ঝোল দিয়ে বিরিয়ানি আমি আর খেতে পারছি না।

মন্তব্যসমূহ

  1. উত্তরগুলি
    1. কি বলবো কোনো কথা হবেনা, পরবর্তী তে ত্রিপুরার বাকিটার আসায় থাকলাম

      মুছুন
  2. অতি সুন্দর ও সহজ সরল ভাবে ত্রিপুরার বর্ননা করেছেন, মনে হচ্ছে ত্রিপুরার সম্পূর্ণ চিত্র যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সার্থক হোক আপনার এই পথচলা।

    উত্তরমুছুন
  3. দারুণ লেখা । খুব ভালো লাগলো ।

    উত্তরমুছুন
  4. তথ্য সমৃদ্ধ সাবলীল বর্ণনা,অনেকেরই ভালো লাগবে।

    উত্তরমুছুন
  5. ত্রিপুরা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম।খুব ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন
  6. বাঃ দারুণ লেখা। যাওয়ার ইচ্ছে রইল।

    উত্তরমুছুন
  7. ত্রিপুরা নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো।

    উত্তরমুছুন
  8. খুব সুন্দর লেখেন আপনি, প্রশংসা পাওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা আপনার আছে।

    উত্তরমুছুন
  9. জম্পুই পাহাড় ও সেখানের মহিলা তান্ত্রিক সমাজের কথা দিলে ভালো হত। তবে খুব ভালো লেখা।

    উত্তরমুছুন
  10. ঠিক বলেছেন। তবে আমি এই ট্যুরে দিকটা যাইনি ।

    উত্তরমুছুন
  11. দারুন সুন্দর লেখা ।এই ভাবেই মানস
    ভ্রমণেই থাকব।

    উত্তরমুছুন
  12. খুব সুন্দর লেখা আপনার । চোখের সামনে সব দেখতে পেলাম।
    বেড়াতে যাবার অপেক্ষা য় আছি।

    উত্তরমুছুন
  13. Apnar lekha porei to ardhaek bhraman hoe galo bakita jawar opekhya.

    উত্তরমুছুন
  14. লেখা পড়ে যাবার ইচ্ছা,জেগে উঠল।

    উত্তরমুছুন
  15. চোখের সামনে অদৃশ্য ছবি দেখতে পেলাম ত্রিপুরার । ম্যাপের ছোট্ট একটি প্রদেশকে আপনি পারদর্শিতার সঙ্গে পাঠকদের দেখালেন । তথ্য সমৃদ্ধ লেখা বলে বেশি আকর্ষক । আরো লিখতে থাকুন ।

    উত্তরমুছুন
  16. Unknown কেনো দেখাচ্ছে।
    নিজের নাম মন্তব্যে আনার জন্য কি করবো জানতে পারলে বাধিত হবো ।

    উত্তরমুছুন
  17. খুব সুন্দর লেখা। ত্রিপুরা না গিয়েই যাওয়া হয়ে গেল।

    উত্তরমুছুন
  18. খুব সুন্দর লেখা। অনেক জানতে পারলাম।

    উত্তরমুছুন
  19. বড় সুন্দর বর্ণনা। এমন পুঙ্খানপুঙ্খ বর্ণনা যে নিজেকে বোঝাতে হয় আমি হালিশহরে আছি ত্রিপুরায় নয় ।

    উত্তরমুছুন
  20. খুব সুন্দর লাগলো। ত্রিপুরা নিয়ে এত সুন্দর লেখা যে হতে পারে আমার জানা ছিল না।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রামায়ণের পথে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ

কল্পা কিন্নর হিমাচল প্রদেশ

ইতালির কলোসিয়াম