পোস্টগুলি

জুন, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিদেশে পাসপোর্ট হারানোর গল্প

ছবি
  পাসপোর্ট হারানোর কথা  ॥ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥  সকাল তখন ৭ টা  হবে । প্রাতরাস হলে প্রায় ১০০ জন মানুষ । এর মধ্যে  আমাদের টিমের এক বয়স্ক মানুষ এসে বল্লেন : আমার পাশপোর্ট মনে হয় হারিয়ে গেছে । সারা ঘরে খুঁজেও পেলাম না । হঠাৎ আমার মাথাটা অন্ধকার হয়ে গেলো । মনে হলো প্রাতরাস টেবিলের সমস্ত কাঁচের প্লেট  গুলো ভেঙে পড়লো এক সাথে । আমার মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বের হলো ' মানে ' ? কোথায় গিয়েছিলেন কাল ? ভদ্রলোক বল্লেন:  কাল এলকাইজার শো তে নিচু হয়ে ঢুকতে গিয়ে মনে হয় পড়ে  গেছে । সাথে সাথে ওনার রুম মেটকে ডেকে পাঠালাম । তিনি এসে বল্লেন , সকাল থেকে সারা ঘর খুঁজেও আমি পাইনি ।কোরালদ্বীপে যেতে হবে  সকাল ৮ টার মধ্যে। বাসরেডি আমারা  এসেছি ৪৬ জন মানুষ । বাসে ওঠার আগেই সেই বার্তা রটে গেলে ক্রমে ।পাশপোর্ট হারিয়েছে কী হবে ? কী হবে দাদা ? বিদেশ বিভুঁইতে কত কিছু হারিয়ে যায় । এ কিনা  পাশপোর্ট ? আমিও মাথায় আনতে পারছি না কী করবো ? থাইল্যান্ডের ভাষা বলতে পারি না । ইংরেজি বল্লে কেউ বুঝতে চায় না । কার কাছে যাই । থানায় গিয়ে বল্লে ওরা কী ডাইরি নেবে ? পুলিশ যদি ওঁনাকে আটকে রাখে ? থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক । আম

বদ্রীনারায়ণে মহাভারতের গ্রাম

ছবি
  মহাভারতের গ্রাম বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়  ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ল নীলকন্ঠ| শীতে শহর জড়সড় হয়ে থাকলেও সবুজ পাহাড় আর রুক্ষ পাহাড়ের নৈসগিক দৃশ্যের মাঝে খরস্রোতা অলকানন্দার একদিকে নর অন্যদিকে নারায়ন পর্বত| তার মাঝে বদ্রীনাথের বড় আকর্ষণ নীলকন্ঠ. বরফের পাগড়ি জড়ানো ২১০০০ ফুট পর্বতের মাথায় বসে আছেন চতুর্ভুজ বিষ্ণু। যে পর্বত বহুকাল ধরে রহস্যে ঘেরা ছিল, বিদেশীরা সাতবার চেষ্টা করেও তাকে জয় করতে পারেননি তার মাথায় চেপে বসেছিল রাজস্থানের এক স্কুল শিক্ষক ১৯৬১ সালে| বদ্রীনাথ থেকে পাঁচ কি.মি. দূরে  নীলকন্ঠ ।  কিন্তু দেখে মনে হয় হাতের কাছে । পাহাড়ের তলায় আছে ব্র্ক্ষ্মপাল । গয়ার মতো এখানেও পূর্বপুরুষের জন্য তর্পণ করেন অনেকেই । শুনেছি চতুর্ভুজ বিষ্ণু ভক্তপ্রাণ  মানুষদের নাকি দেখাও দেন! কুম্ভযোগে অনেকেই নাকি নীলকন্ঠ পর্বতে তাঁকে দেখতে পান! ঘন্টার পর ঘন্টা যাকে দেখেও তৃপ্ত হওয়া যায় না। সেই শৃঙ্গকে আড়াল করে রেখেছে বদ্রীর দুই পাহাড় কৃষ্ণ আর অর্জুন । অলকানন্দার সেতু পেরিয়ে বদ্রীনাথের মন্দির।  এখানকার তপ্তকুন্ড ও নারদকুন্ড তো মহাভারতের পাতা ধরেই | বরাহ এবং হিরন্যাক্ষ যুদ্ধের কথা সবার জানা । হিরন্যাক্ষক

পৃথিবীর প্রাচীনতম হোটেল

ছবি
পৃথিবীর প্রাচীনতম হোটেল  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়॥ মেফিস্টোফিলিস ফাউস্টকে এক ডাকিনীর কাছে নিয়ে যায়। ডাকিনীর হাতে তৈরি সঞ্জীবনী জল খেয়ে ফাউস্টের বয়স কমে যায়।                                                                  ( গ্যোটের ফাউস্ট) ।  যখন ছবিটা দেখি মনে হচ্ছিল আমাকে কেউ এরকম সঞ্জীবনী জল দিতে পারেন? গ্যোটে এক তরুণের সাথে মাথা নিচু করে কি আলোচনায় মগ্ন । গোল্ডেনার এডেলার যখন হোটেলের লবিতে তখন ছবিটা দেখে মনে হচ্ছিল তিনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বয়সটা যদি  আমার বেড়ে যেতো তাহলে এখানে (১৩৯০ থেকে ২০১৯ ) বসে আলব্যের কামু, জার্মান কবি হাইনে, জাঁ পল সার্ত্র, মোজার্ট , রাজা ম্যাক্সিমিলিয়ান, নিকালো পাগানিনি কে পৃথিবীর প্রাচীনতম হোটেলে বসে  একই ছাদের নিচে দেখে নিতে পারতাম ! অস্ট্রিয়ার ইনসব্রুককে  গোল্ডেনার এডেলার  হোটেলের লবিতে ছবিটা দেখে আমি চমকে উঠি। ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এমন একটি হোটেল যার সাথে জড়িয়ে আছে অস্ট্রিয়া  ও ইতালি,  বিশেষ  করে রোমের ইতিহাস। যে কারণেই হোক সবচেয়ে বেশি জার্মানি ও ইতালির  উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা পছন্দ করতেন গোল্ডেনের এডেলার হোটেলটিকে ।   হোটেল গোল্ডেন এডেল

সাঁচিতে কি দেখবেন

ছবি
  সাঁচি বামাপদ  গঙ্গোপাধ্যায় ।  চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা। জীবনানন্দ দাশ কি কখনো বিদিশায়  গিয়েছিলেন? তাহলে কোথা থেকে পেয়েছিলেন সেই অন্ধকারকে? পেয়ে ছিলেন মনে হয় এক বাঙালির  কাছ থেকে । তিনি বিপিনবিহারী ঘোষাল । জন মার্শাল ও বিপিনবিহারী ঘোষাল মিলেই  সাঁচি স্তুপ খননের কাজে নেমে  ছিলেন । কবি ও লেখক দের সাথে বিপিনবিহারী ঘোষালের   দারুণ সখ্যতা ছিলো। ৫ মে ১৯২২, শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের হাতে ইংরেজিতে একটি চিঠি লেখেন বিপিনবিহারীকে। তার কিছু দিন আগেই রবীন্দ্রনাথের সাঁচি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল । বিপিনবিহারী সব ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন। হঠাৎ কোন কারণে  যাত্রা স্থগিত করতে হয় । না  যেতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রবীন্দ্রনাথ । সাঁচি আর যাওয়া হয়নি রবীন্দ্রনাথের।  একটি নক্ষত্রের রাতে আমিও খুঁজতে গিয়েছিলাম বিদিশার অন্ধকারকে। বিদিশার ধানক্ষেতে একটা বিরাট লৌহস্তম্ভ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি। অথচ এখানেই ছিল রাজা অশোকের শ্বশুরবাড়ি। আমরা বিদিশায় আর যাবো না । যাবো সাঁচী।  ' সাঁচীর স্তূপ মৌর্য্য সম্রাট অশোক দ্বারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় অব্দে নির্মিত হওয়ায় এটি ভারতের পাথর নির্মিত প্রাচীন

ডুয়ার্স স্বপ্নময় কাব্য ।

ছবি
আমার ডুয়ার্স স্বপ্নময় কাব্য । বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥  এখানে আকন্দ ফুল আছে , চন্দন নেই ! ঘষে যাওয়া কাঁচের মতো জল আছে , শুধু সে নেই ! কে এনে ছিল তাকে? অফুরন্ত মাদকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা সুবর্ণলতা নেই , নেই বলতে নেই রাজ্যের অনেক চতুরতা  l  এখানে কোন  নাবিক আসেনি ভাঙা নৌকা নিয়ে l আকাশে পাহাড় আছেন  , তাও দুরে ! ড্রাগন দেশে  l হিমালয় পর্বত l দূরে  ডাকছেন আয় আয় কোন এক দুয়ার ধরে স্বস্তির মত  পাওয়া  যাবে l আমি ই একটা নৌকা এনেছি l আঁকা বাঁকা উড পেন্সিলে আঁকা l ক্লাস ফোরে বাবার স্কুলে পড়ার সময় কোন এক সহ পাঠীর খাতায় এই নৌকাটা আমি দেখেছিলাম l  আজ সে ডুয়ার্সের জঙ্গল নদীতে ভেসে l আমি তাকে নিতে এসেছি এক চিলতে রোদ্দুর থেকে l হলং আমার পাশে এক অঙ্গৃরিয় জলের মতো l এখানে জলের মধ্যে মেঘ ভাসে , আমরা নৌকা ভাসে না l তোমায় নিয়ে আসব শাল সেগুন আর শিরিষ গাছের জঙ্গলে । চায়ের পাতায় । ছিপ নিয়ে বসে আছি মূর্তি নদীতে l ভাবনারা ধরা দেবে মাছের আকারে l অন্ধকার স্ফুলিঙ্গ , আদি অনন্ত l সে আমায় বলেছিল তিস্তা আমার প্রিয় নদী l আমি তার জন্য জঙ্গলের আঁচলে বেঁধেছি কাজল কালো তিস্তাকে l কে আমায় এনে ছিল নদীর ধারে ? আকাশের মেঘ বালিকা

হালিশহরে একদিনের ভ্রমণ

ছবি
হালিশহর বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলতো সোনা। রামপ্রসাদ সেনের এই গানটা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে । মনে মনে ভাবি একই জমিতে এত বছর কেটে গেলো (রামপ্রসাদের ভিটের জমিতে) অথচ কোনদিনই আমি লিখতে পারলাম না হালিশহরকে নিয়ে । আয় মন বেড়াতে যাবি । এই শ্যামা সংগীত শুনে শুনে বড় হয়েছি । দেশ বিদেশ নিয়ে নানান লেখা লিখেছি । জন্ম ভিটে বড় সুন্দর ভ্রমণের জায়গা  তাকে নিয়ে লিখলাম না কেন ? সেই প্রশ্ন মাঝে মাঝে আমায় ভাবায় ।            রামপ্রসাদ কালীবাড়ি॥  ছবি তাপস কুমার দত্ত     গঙ্গা নদীর একটা গুণ আছে সে যে পথ দিয়ে গেছে তার চারিপাশে যেমন শিল্প তৈরি করেছে  তেমনি শিল্পীও তৈরি করে গেছেন । একেই  বলে মাটির গুণ । বহু বঙ্গচর্চিত মানুষের বাস ছিলো এই ছোট অঞ্চলে । রামপ্রসাদ সেন , রাণীরাসমণি , নিগমানন্দ পরমহংস , মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের  দীক্ষাগুরু ঈশ্বরপুরী থেকে কবিকর্ণপুর পরমানন্দ সেন , আজু গোঁসাই ।  আমি যেখানে থাকি সেই রাস্তার নাম শিবের গলি, চৌধুরিপাড়া। একদিকে মিথ শিব , অন্যদিকে সাবর্ণচৌধুরির ইতিহাস । সাবর্ণচৌধুরিরা তো হালিশহরের মানুষ । তাঁদের সপ্তম দোল এখনো এখানে হয়ে চলেছে ।শিবের গলি শুধু ম

পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষদের কথা

ছবি
পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষদের   রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠি  ॥ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী  শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমীপে ,  সারা বিশ্বের সাথে ভারত করোনা ভাইরাসের প্রকোপে  জর্জরিত। ভারত করোনাকে জয় করতে পারবে আশা করছি । করোনার প্রকোপ থেকে  আপনি  পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে যে ভাবে বাঁচিয়ে রাখবার চেষ্টা করছেন তা এক কথায় অভূতপূর্ব। এই করোনা ভাইরাস জন্য ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিতে ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। গত বছর  রাস্তায় নেমে আপনি আমাদের দিশা দেখিয়েছেন কিভাবে করোনা থেকে দূরে থাকা যায়। ঠিক করোনার মতই পশ্চিমবঙ্গে দুটো ঢেউ আছড়ে পড়েছে । গত বছরে আম্ফান , এ বছরের ইয়াস । গত বছরে শুধুমাত্র সমুদ্র উপকূল অঞ্চল গুলোতেই আম্ফান আছড়ে পড়েছিল । এবছর শুধু সমুদ্র উপকূলবর্তী নয় রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াস আছড়ে পড়েছে । মানুষ ঘরছাড়া , গ্রাম ছাড়া , বহু জায়গায় এখনও বাঁধের জল নামেনি । ক্ষতিগ্রস্ত এই সমস্ত মানুষের সাথে জড়িয়ে আছেন পর্যটনশিল্পের মানুষেরাও । দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর , লাল কাঁকড়া বীচ , মৌসুমী আইল্যান্ড ,বিস্তীর্ণ সুন্দরবন অঞ্চল, পুরুলিয়ার অযোধ্যা , সীতারামপুর , উ

আন্দামানে এলিফ্যান্টা বিচ ও ভয়ের কারখানা

ছবি
  এলিফ্যান্টা বিচ ও ভয়ের কারখানা বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়   আমরা যে যার নিজের মতো করে ঘুরবো । কয়েকজন আবার বললেন সূর্যাস্ত দেখতে যাব রাধানগর বিচে। কেউ আবার কালাপাথর বিচে যাবার ইচ্ছে প্রকাশ করলো । হঠাৎ একটা ওয়াটার প্লেন হ্যাভলক এসে নামল । ওটা দেখার জন্য আর ছবি তোলার জন্য সকলে ঝাপিয়ে পড়লো । সব পরিকল্পনায় এদিক ওদিক হয়ে গেল । আমার ইচ্ছে ছিল এই বিমানে একবার পোর্ট ব্লেয়ারে ফিরব । সকাল থেকে রাধানগর বিচে স্নান করে সকলেই প্রায় ক্লান্ত । ঘড়িতে তখন তিনটে বাজে । ঘুম ঘুম পাচ্ছে দেখে একটু চা খেয়ে নিলাম । হঠাৎ দেখি কেয়া দি হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে আমায় বল্লেন দাদা আমরা এলিফ্যান্টা বিচ যাব না? পেছনে দেখি সুস্মিতা দিদিমণি।এনারা দুজনেই একই স্কুলের শিক্ষিকা । এলিফ্যান্টা বিচ যাওয়ার একটা রাস্তা আছে সেটা হলো রাধানগর বিচ থেকে ট্রেক  করে যেতে হবে। সে খুব কষ্টকর ট্রেক আর তিনটের পর তো যাওয়াই যাবে না ।সেখানে যেতে গেলে একজন গাইড এর প্রয়োজন হয় । রাস্তায় খুব বাজে । কি করব বুঝতেই পারছি না ।এলিফ্যান্টা বিচ হ্যাভলোক দ্বীপের দক্ষিণ পূর্ব দিকে।  সবুজ নীল আশ্চর্যজনক পরিষ্কার জলে অসংখ্য  প্রবালের সাথে সাদা বেলে পাথ

রামায়ণের পথে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ

ছবি
রামায়ণের পথে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়   হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; অতিদূর সমুদ্রের 'পর হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর ।        দারুচিনি-দ্বীপের ভেতরে যাবার আগে জীবনানন্দ দাশের লেখাটা খু্ব মনে পড়ছিল । যাব দারুচিনি-দ্বীপে।             সিগিরি য়া দুর্গ ছবি শ্রীলংকা পর্যটন দপ্তর ।  সেটা কোথায় ? সেটা সেই দেশ যেখানে গেলে বুক ভরা শ্বাস নেওয়া যায় । যেখানে মানুষ  ইট কাঠ পাথর দিয়ে জঙ্গল করে রাখেনি , সেখানে প্রকৃতি নিজেই সেজে আছে । যেখানে জল খেলে পিপাসা মেটে । মনে হয় নিজের দেশেই আছি , নিজের সাথেই আছি । যে দেশে রজনী নেই সেই দেশেই মানুষ ভিড় করে বেশি । এখানে সকাল আছে , দুপুর আছে রজনী আছে । যাচ্ছি পুরানের  পথে যাবার আগে একটু বলি রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ বিদেশ যাত্রা করেছিলেন শ্রীলঙ্কায় ১৯৩৪ সালে । আর সেই দেশের জাতীয় সংগীতটিও তার রচনা । এনিয়ে কেউ কেউ তর্ক করেন  । এখানে তর্কের অবকাশ নেই । সেটা ভেঙে দি ।  শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সমরকুন ১৯৩০ সালে শান্তিনিকেতন