ফ্লোরেন্স

 ফ্লোরেন্স

বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । 

 কৈশোরে আমরা খুব মুখস্ত করেছি রোম সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি? তখন ভেবেছি এসব পড়ে কি লাভ,  কি হবে আমার জেনে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি ? কলোসিয়াম এর একটা ছবি আমাদের ইতিহাসের বইয়ের পাতায় দেখতাম। কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিওনি রোমে যাবো । তবে দান্তে এবং মাইকেলেঞ্জেলো সম্বন্ধে আমার খুব কৌতুহল ছিল। রোমের পোপরা কিভাবে দান্তেকে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে তার নিজের শহর ফ্লোরেন্স থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন সে গল্প কিন্তু এখনো আমার মনে আছে। 'ডিভাইন কমেডি' পড়েছি অনেক পরে । কিন্তু ফ্লোরেন্স নিয়ে আমার ভাবনা ছিলো । কেন না সেই সময় সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একটা পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল ফ্লোরেন্স।  বাস এসে থামল ফ্লোরেন্স শহরে । আমাদের যে নিজস্ব গাইড  ছিল । তিনি বললেন ফ্লোরেন্স দেখানোর জন্য আলাদা গাইড লাগে  তিনি আসছেন একটু অপেক্ষা করুন । কিছুক্ষণ বাদে এক সুন্দরী মহিলা এসে হাজির । তিনি আমাদের সাথে পরিচয় করলেন । তিনি আমাদের ঘুরে দেখাবেন ফ্লোরেন্স । 

ফ্লোরেন্স সহর


 ফ্লোরেন্স বললেই একটা নাম সকলের মুখেই চলে আসে নাইটেঙ্গেল ফ্লোরেন্স। যাকে নার্সিংয়ের দেবী বলা হয়। তিনি জন্মেছিলেন ফ্লোরেন্সে, কিন্তু তার সমস্ত কার্যকলাপ কিন্তু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। গত মে তাঁর ২০০ বছর পূর্ণ হলো । প্রথমবার যখন ফ্লোরেন্সে গেলাম তখন বোকার মত শুধু এদিক-ওদিক তাকিয়ে থেকেছি বুঝতে পারছি না কোনটা কিভাবে দেখব? গাইড আমাদের সঙ্গে ছিল কিন্তু তিনি যেখান থেকে বলতে শুরু করেছিলেন সেই জায়গায় আমার  পড়াশোনা ছিলনা। দ্বিতীয়বার যাওয়ার আগে প্রচুর পড়াশোনা করেছিলাম যাতে আমি ভালোভাবে দেখতে পারি । তাতেও যে বিরাট কিছু লাভ হয়েছিল তা নয়।ফ্লোরেন্স শহরটা  সাহিত্য সংস্কৃতি থেকে  রাজনীতি এত বড় একটা গভীর জায়গা যেখানে থই খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা ভেনিস  থেকে ফ্লোরেন্সে আসছি ২৬৩ কিলোমিটার রাস্তা । ভেনিসের ছবি  তখনও মাথা জুড়ে । কী ভাবে ফ্লোরেন্সকে দেখবো সেটা আর মাথায় আসছে না । আজ যখন লেখাটা লিখছি , তখনও মাথায় জট পাকিয়ে যাচ্ছে । নিজেও বুঝতে পারছি না কী ভাবে ফ্লোরেন্সে আমি যাবো । 

ডেলা নিনা


ইতালির এক নান্দনিক শহরের নাম ফ্লোরেন্স। শিল্প, স্থাপত্য ও ইতিহাসের শহর হিসেবে পরিচিত ফ্লোরেন্স ছবির মতো সুন্দর। শহরটি বেশ পরিপাটি এবং সাজানো গোছানো। বহু শতাব্দীর পথ পরিক্রমায় আজকের এই ফ্লোরেন্স শহরটি গড়ে উঠেছে। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৫৯ সালে জুলিয়াস সিজারের রাজত্বকালে শহরটির গোড়াপত্তন হয়। শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বড় বড় প্রাসাদ, শতাব্দী প্রাচীন ক্যাথেড্রাল ও মিউজিয়ামের সাথে জড়িয়ে আছে নগর সভ্যতার হাজারো গল্প, কাহিনী।

ফ্লোরেন্স  মধ্য ইতালির তুস্কানি (তুস্কানা) অঞ্চল ও ফ্লোরেন্স প্রদেশের প্রধান শহর হিসেবে খ্যাত। রোমের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে এ শহরের অবস্থান। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত মেয়াদকালে এ শহরটি আধুনিক ইতালি রাজতন্ত্রের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল। আর্নো নদীর তীরে অবস্থিত ফ্লোরেন্সের সবচেয়ে জনবহুল, যার সংখ্যা প্রায় ৩,৭০,০০০জন।ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ বিশ্লেষণ ও শহরের গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেস্কো ১৯৮২ সালে এ শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। সুপ্রাচীন ভবনগুলোয় চিত্রিত শিল্পশৈলীর মাধ্যমে ফ্লোরেন্সের জনগণের ধর্মীয়, শিল্পকলা, শক্তিমত্তা, এমন-কি অর্থ-প্রাচুর্য্যের নিদর্শনও রয়েছে । এ শহরের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, দাঁন্তে, ম্যাকিয়াভেলী, নাইটেঙ্গেল ফ্লোরেন্স সুপরিচিত মেডিসি পরিবারের শাসকদের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

গাইড আমাদের বোঝাছেন

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্লোরেন্সের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। খ্রীষ্ট-পূর্ব প্রথম শতাব্দীতে রোমান সামরিক উপনিবেশ হিসেবে ফ্লোরেন্সকে দেখা যায়। মধ্যযুগে ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত ছিল ফ্লোরেন্স, যা ঐ সময়ে অন্যতম সমৃদ্ধশালী শহরে পরিণত করেছিল।  ইতালির পুণঃজাগরণের পীঠস্থান রূপে গণ্য করা হয়ে ।  শহরটি দীর্ঘদিন মেডিসি পরিবার কর্তৃক শাষিত হয়েছে। পাশাপাশি, অনেক ধর্মযাজক ও প্রজাতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ইতিহাস গড়ে উঠে।চতুর্দশ শতক থেকে ষোড়শ শতক পর্যন্ত জ্ঞানচর্চা, চিত্রকলা ও স্থাপত্যকলার জন্যও শহরটি বিখ্যাত।  শহরকে মধ্যযুগের এথেন্স নামে ডাকা হয়। প্রায় এক হাজার বিখ্যাত ইউরোপীয় চিত্রকর দ্বিতীয় শতকে এখানে এসেছেন । তার মধ্যে  প্রায় ৩৫০ জন ফ্লোরেন্সে বসবাস কিংবা কাজ করেছেন। 

সবচেয়ে মজার ব্যাপার যে একসময় যাঁরা ধনী ছিলেন, পরবর্তী সময়ে তাঁদের বংশ মর্যাদা ছাড়া আর কিছু্ই নেই  তারা নিজেদের মতো করে একটা সমাজ তৈরি করলেন ।ফ্লোরেন্স সে সময়ে ইতালির একটি শহর হলেও কার্যত এটি ছিল একটি স্বাধীন দেশের মতোই ক্ষমতাধর।  দান্তের জন্মের সময়ে ফ্লোরেন্সের লোকজন প্রধানত দুটো দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। কেউ গুয়েলফো পার্টি করতো আর কেউ গিবেল্লিনো পার্টি।  দুটো প্রধান রাজনৈতিক দলে শহরটির  জনগণ ভাগ হয়ে গিয়েছিল।  প্রতিযোগীতা আর ক্ষমতার লড়াই লেগেই থাকতো। যেটা অবশ্য  এখনও চলে আসছে । 

দান্তের শহরে 

হেঁটে হেঁটে আমি গলিঘুজির মধ্যে অনেকটা ঘুরেছি । ফ্লোরেন্সকে  ইতালির রাজধানী (১৮৬৫-৭১) হিসাবে ঘোষণার পর শহরকে সাজানো জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছিল বহু  মধ্যযুগীয় টাওয়ার, গীর্জা, , মহৎ পরিবারের কিছু প্রাসাদ, পাশাপাশি কারিগরদের দোকান এবং আবাসনগুলি। 

সব ভেঙে গেলেও কিন্তু রয়ে গেছে বিখ্যাত লা ভিটা নুভা যার সাথে জড়িয়ে আছেন দান্তের নাম । সেই জায়গাটা দেখার ইচ্ছে ছিলো । এখানেই কত কবি শিল্প এসে আড্ডা মেরেছেন তার তলায় একবার এসে দাঁড়িয়েচি  ভেবেও আমি নিজেকে ধন্য মনে করেছি । 

গাইড আমাদের নিয়ে গেলো ফ্লোরেন্সের বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল সান্তা মারিয়া দেল ফিয়োরে। ফ্লোরেন্সের আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। এটি নির্মাণ করতে প্রায় দেড়শো বছর সময় লেগেছিল। ক্যাথেড্রালটি বিশাল ও ‍বিস্তৃত। চারপাশে বিশালাকৃতির তোরণ, সুউচ্চ খিলান আর দানবাকৃতির গম্বুজের জন্য এটি বিশ্বের অন্য ক্যাথেড্রালগুলোর চেয়ে বেশ অনন্য। কোনও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া রেনেসাঁর মহান প্রকৌশলী আর কারিগরেরা যেভাবে এ অসাধ্য সাধন করেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি-মূর্তি

ক্যাথেড্রালের ভেতরটি অবশ্য তুলনামূলকভাবে সাদামাটা। সুবিশাল লাল গম্বুজটি এক সময় ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম। এত বড় গম্বুজ তৈরির কোনো পদ্ধতি তখন কারো জানা ছিল না। এর জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নকশা আহ্বান করা 8হয়। ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কি নামের একজন স্বর্ণকারের নকশা শেষপর্যন্ত গৃহীত হয়। ষোল বছরের চেষ্টায় তিনি এই গম্বুজটি নির্মাণ করতে সক্ষম হন। ব্রুনেলেস্কি তার কাজের কোনো স্কেচ বা ব্লুপ্রিন্ট রেখে যাননি।

আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া এই বিশাল গম্বুজ সে সময় কী করে নির্মিত হয়েছিল, তা বিজ্ঞানীদের কাছে আজও এক রহস্য। শত শত বছর ধরে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করেও এখনও ফ্লোরেন্সের রাজকীয় প্রতীক হিসেবে এই স্থাপত্যকর্ম নিজের অস্তিত্বকে প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছে। ১৪৩৬ সালে তৎকালীন পোপ ক্যাথেড্রালটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। যেহেতু আগের বার দেখছি আর সেই কারণে আমি সেখানে না গিয়ে নিজের মতো ঘুরতে লাগলাম । দান্তের বাড়ি দেখার প্রবল ইচ্ছে । কয়েকজন আমায় গাইড করেছিলেন । কিন্তু  আর যেতে পারিনি । পিয়াজ্জা দেলা সিনোরিয়াতে চলে এলাম ।  ফ্লোরেন্স শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য এক স্থান। এই জাদুঘরেই মিকেলেঞ্জেলোর অসাধারণ সৃষ্টি ‘ডেভিড’ এর মর্মর মূর্তিটি দেখতে পাওয়া যায়। এটিকে পৃথিবীর সর্বকালীন একটি শ্রেষ্ঠ শিল্পকীর্তি বলে ধরা হয়। ভাস্কর্যটি যৌবনের শক্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।  মিকেলেঞ্জেলোর এই অন্যবদ্য শিল্পকর্মটি মুগ্ধতা ও বিস্ময়মাখা চোখে দেখতে থাকেন সকলেই ।

হারকিউলিস এবং কাকাস

পিয়াজ্জা শব্দের অর্থ স্কোয়ার বা চত্বর। গত কয়েক শতাব্দী ধরে এ স্থানটি এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বড় স্কোয়ারে এসে মাইকেলেঞ্জেলোর কাজগুলো দেখতে শুরু করলাম।   দেখে আমার মনে হয়েছে যীশুকে কে বাদ দিয়ে তিনি নিজের মতো কিছু করতে পারেননি। সব ছবিতে যীশুর গল্প । শিল্পী হিসাবে পৃথিবী বিখ্যাত। কিন্তু যা কিছুই করেছেন , রাজা অথবা ধর্মযাজকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ।

 বরঞ্চ দান্তে কোনদিন রাজা অথবা ধর্মযাজকদের পৃষ্ঠপোষকতা না নিয়ে তার বিরোধীতা করেছেন । ইউরোপে যে রেনেসাঁ বা সভ্যতার পুনর্জন্ম হয়েছিল তা প্রধানত এ ফ্লোরেন্সকে কেন্দ্র করেই হয়েছিল, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে সারা ইতালিতে। তারপর ধীরে ধীরো সমগ্র ইউরোপে। মূলত দান্তের হাত ধরেই ইতালির সাহিত্যভাণ্ডার সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়। 

শহরের গলিঘুঁজি 

এতো ইতিহাস যে না লিখেও পারছি না । ইতিহাস থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাই নদীর দিকে । আর্নো নদী একবার উপর থেকে দেখছি । এবার চলে এলাম নদীর ধারে । বাড়ির ভেতর দিয়ে লম্বা রাস্তা পেরিয়ে চলে এলাম 

আর্নো নদীর ওপর অবস্থিত ইতালির সবচেয়ে পুরনো সেতুতে পন্টে ভেক্কিও । ডুওমোর মতো এটিও ফ্লোরেন্সের একটি ল্যান্ডমার্ক। আর্নো ফ্লোরেন্সের প্রাণ। সারা শহর জুড়ে এই নদী নিরবচ্ছিন্নভাবে বয়ে চলেছে। টাইবারের পর মধ্য ইতালির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত এই নদী। আর্নো নদীর সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকেরা নদীতে নৌবিহার করে থাকেন।অনেক বছর আগে সেতুটির ওপর কসাইদের দোকান ছিল। পরে সেগুলো বন্ধ করে স্বর্ণাকারদের দোকান গড়ে ওঠে। সাতশো বছরের পুরনো সেতুটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এর ওপর অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘর আছে। এ ব্রিজ নিয়ে প্রচুর গল্পগাথা প্রচলিত আছে।

নদী ও শহর
সেতুর ওপর আগে প্রচুর বন্ধ তালা দেখতে পাওয়া যেতো। প্রেমিক-প্রেমিকেরা তাদের প্রেমকে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দেয়ার জন্য এই সেতুটিতে চাবি দিয়ে তালা বন্ধ করে চাবিটি আর্নো নদীতে ফেলে দিত। তাদের বিশ্বাস ছিল, এভাবে তাদের প্রেম চিরকালের জন্য বাঁধা পড়বে। এখন  সেতুটিতে কিছু সুভেনিওর ও স্বর্ণের দোকান রয়েছে।  উপহার দেওয়ার জন্য অনেকেই এখানে কিছু সময় কাটান।  নদীর পাড় ধরে চলে আসি উফিজি গ্যালারীতে  এটা একটা  বিশিষ্ট আর্ট মিউজিয়াম ।  পিয়াজা দেলা সিগোনিয়ার সংলগ্ন কাছেই ।এখানে রয়েছে  সব বিখ্যাত মনীষীদের পাথরের ভাস্কর্য। একদিকে ভাস্কর্য দেখছি আর দেখছি আর্নো নদী। পেছন থেকে গাইড এসে  তাড়া দিচ্ছে । যেতে হবে রোমে ।


আর্নো নদীর তীরে


মন্তব্যসমূহ

  1. তোমার লেখা আমার সব সময়ই ভালো লাগে ।

    উত্তরমুছুন
  2. আপনার প্রতিটি লেখাই খুবি ভালো, আমরা খুবি সহজ ভাবে বুঝতে পারি

    উত্তরমুছুন
  3. অনবদ্য লেখা, এতো সুন্দর বর্ণনা, পরিমার্জিত ভাষা, খুব ভালো লাগলো, লেখার প্রথম অনুচ্ছেদে 'ফ্লোরেন্স ' দেখাবার জন্য যে বিশেষ গাইড এসেছিলেন- তার সম্মন্ধে আপনি বলেছেন -'উনি আমাদের ফ্লোরেন্স খুলে দেখাবেন '-মনেহচ্ছে আপনি 'ঘুরে ' লিখতে গিয়ে 'খুলে ' লিখে ফেলেছেন!

    উত্তরমুছুন
  4. আপনার লেখা অসাধারণ।বাড়িতে বসেই জায়গা সমন্ধে একটা ধারণা করা যায়।

    উত্তরমুছুন
  5. পড়ে খুবই ভালো লাগলো । ইতিহাস পড়তে আমার কোনো দিন ভালো লাগত না কিন্তু আপনার লেখা পড়লে মনে হয় গল্পের বই পড়ছি

    উত্তরমুছুন
  6. দারুণ লেখা। একেবারে প্রাঞ্জল।

    উত্তরমুছুন
  7. Apner lekha pore amar manos bhromon hoe galo.Khoob sundor bornona.

    উত্তরমুছুন
  8. পড়তে পড়তে মানষচক্ষে ঘুরে এলাম ফ্লোরেন্স থেকে । আপনি প্রতিটি জায়গায় বর্ননা সুন্দর দিয়েছেন । অনেক শক্ত শক্ত নাম মনে রাখতে হয়েছে । খুব ভালো লাগলো।

    উত্তরমুছুন
  9. পড়তে পরতে ঘুরে এলাম ফ্লোরেন্স। খুব ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন
  10. দুর্দান্ত! আপনি হারানো কলম খুঁজে পেয়েছেন স্যার!

    উত্তরমুছুন
  11. বাহ্ লেখনীর গুণে কিছুক্ষণের হারিয়ে গিয়েছিলাম ফ্লোরন্সে।

    উত্তরমুছুন
  12. আপনি খুব সহজ ভাষায় আপনার ভ্রমণ কাহিনী লেখেন।এটা আপনার একটি বিশেষ গুন বা প্রতিভা। আপনার প্রতিভাকে আরো বিকশিত ক‍রে তুলুন।

    উত্তরমুছুন
  13. Ato sundor bornona Bamada, porte porte abar Italy ghure alam... manospote vese uthte laglo aker por ak drishyo aapnar lekhonir madhyome.... Somridho holam...

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রামায়ণের পথে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ

কল্পা কিন্নর হিমাচল প্রদেশ

ইতালির কলোসিয়াম