পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কচ্ছের বুনো গাধা ।

ছবি
  কচ্ছের বুনো গাধা । বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।    কচ্ছের রণে বুনো গাধা দেখার জন্য খুব সকালে বেরিয়ে ছিলাম আমেদাবাদ থেকে । অনেকেই বলেছিলো গাধা দেখার কি আছে ? গাধা কি কখনো দেখনি ? একটা ইতর শ্রেণী জীব দেখার জন্য আর যাই হোক এতো দূর আসা যায় ? আমি তাদের বলি কেন রে ভাই সিংহ দেখতে কেনিয়া যাও কেন ? যুক্তি তক্কো গপ্পো যাই থাক না কেন আমি দেখতে যাব এমন এক জীবকে পৃথিবীতে আর কোথাও তাকে দেখা যায় না । যাদের দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মত বুদ্ধিটা আসলে গাধার মত !  করোনার পর এই প্রথম এলাম আমেদাবাদে । এক-চোখে কিছুই বুঝলাম না দু বছরে কতটা পাল্টে গেছে শহরটা । তবে একটা জিনিস পাল্টেছে ! কাটিং চা আর পাওয়া যায় না । করোনার ভয়ে এখন আর ডিশ ব্যবহার করা হয় না তার বদলে কাগজের কাপে চা দেয়া হচ্ছে । গুজরাটে ভোর হয় অনেক দেরিতে । বের হবার কথা সকাল ৮ টায় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি মনে হয় ভোর ৬ টা।আসলে তখনই সকাল ৮ টা ছুই ছুই । বড্ড দেরি হয়ে গেল । সবরমতি নদী যখন পার হলাম তখন ঘড়িতে নটা বাজে ।২০২১ ডিসেম্বর মাস শীতের কোন আদর গায়ে নেই গাড়িতে বসে মনে হচ্ছিল জানালাটা একটু খুলে দি,আশ্রম রোড থেকে সবরমতী বাতাস একটু বুকে লাগুক ।  ঢোকার গেট

সুন্দরবন

ছবি
বনের মধ্যে লুকানো বন  সুন্দরবন  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  ' মেঘলা দিনে দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে চিরকালীন ভালোবাসার বাঘ বেরুলো বনে ... আমি কাছে গেলাম, পাশে বসলাম,মুখে বললামঃ খা আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ ,নড়ে বসছে না । '   শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের বাঘ কবিতাটা পড়ে যাই সুন্দরবন যাবার আগে । ভাবি এবার তার দেখা পাবো । কিন্তু মা বনবিবির ইচ্ছে না থাকলে তো আর দেখা পাওয়া যায় না! বাঘ কিন্তু দেখতে অসাধারণ। প্রকৃতির মাঝে তার অসাধারণ রূপটাকে দেখবার লোভ  আমি সামলাতে পারিনা। সুন্দরবনের বাঘকে আমি নদীতে সাঁতার কাটতে দেখেছি। জঙ্গলের মধ্যে বসে থাকা অবস্থায় আমি দেখিনি পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র সুন্দরবনের বাঘই মানুষকে খায় । সুন্দরবনের বাঘকে  বলা হয় inborn man eater tiger। সুন্দরবনের এখন বাঘের সংখ্যা ৯৬। মনে করা হয়, সাইবেরীয় বাঘের পর বেঙ্গল টাইগার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপপ্রজাতি।  আমরা যখনই সুন্দরবনে যাই , অবচেতন মন বলে বাঘ দেখতে যাচ্ছি। সুন্দরবন কি শুধু বাঘ দেখার জায়গা? কী নেই সুন্দর বনে ।  সুন্দরবন যখন প্রথম সুন্দরবন যাই তখন সমস্ত লঞ্চ ছাড়তো  ক্যানিং থেকে। লঞ্চ মালিকরা জোয়ারের সময় সমস্ত লঞ্চ ঘাটের কাছে এন

ত্রিপুরা

ছবি
  তিন দিনের ত্রিপুরা  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  রাজা শব্দের সাথে একটা দ্যোতনা  কাজ করে। আমাদের সময় কোন রাজাকে আমরা দেখিনি কিন্তু রাজবাড়ী অনেক দেখেছি। ছোটবেলায় খুব ইচ্ছে ছিল রাজা দেখবার। পশ্চিমবঙ্গে বাস করে আমরা সকলেই মুর্শিদাবাদের সিরাজউদ্দৌলার বাড়ি কৃষ্ণনগরের গিয়ে আমরা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ি দেখেছি। রবীন্দ্রনাথের রাজর্ষি উপন্যাসটা পড়ার পর , পরবর্তী সময় বিসর্জন নাটক দেখেছিলাম সেটা রাজশ্রী একটা নাট্যাংশ। তখন মনে হয়েছিল এই মানিক্যদের একবার দেখার খুব ইচ্ছে গোবিন্দ মাণিক্য , বিক্রম মানিক্য এরকম ভাবে সেজে থাকেন ,  কি সিংহাসনে বসেন ? মানিক্যদের দেখতে গেলে যেতে হবে ত্রিপুরা। বিক্রম মানিক্য ১৯৪২ সালে ত্রিপুরায় বিমানবন্দর তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই সময় রাজা দেখার স্বপ্ন যা বিমান দেখার স্বপ্ন ও তাই ।  ভাবনায়  কোনদিনই ছিল না জীবনে বিমান চড়ার । রবীন্দ্রনাথের সাথে বিক্রম মানিক্যের একটা বিরাট সখ্যতা ছিল হয়তো রাজা বিমানের  টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিতেন রবীন্দ্রনাথ এসে  থাকতেন মালঞ্চের বাড়িতে।  প্রাসাদ  ছবি অমর রায়      সেই বিমানেই গেলাম ত্রিপুরা, কিন্তু রাজা দেখা হয়নি । যতবার ত্রিপুরা গেছি বারবার

ভূটান

ছবি
ভূটান কথা বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  হিমালয় নন্দিনী ভুটান । এই নন্দিনীকে দেখার জন্য এক দশক ধরে বাঙালি বহুবার ভুটানে গেছেন । করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন প্রায় সব ভ্রমণ বন্ধ । কিন্তু বাঙালির কাছে ভুটান যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আরো দু'বছর আগে । ভুটান সরকার চায় না অতিরিক্ত পর্যটক তাদের দেশে এসে দেশটাকে দূষণ ও অপরিচ্ছন্ন করে তুলুক । যার জন্য ভুটান তার বিদেশনীতিতে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ভুটানে প্রবেশের জন্য এমন একটা কর ধার্য করেছেন , তাতে বাঙালির নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে । দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে ভিসার জন্য মনে হয় এত টাকা লাগেনা।  আমি ভুটানের বিদেশনীতি নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না । সেটা তাদের দেশ । তাদের ভাবনা । কিন্তু পারো থিম্পু হা ভ্যালি বাঙালি পর্যটকদের বড় প্রিয় জায়গা ছিল । একদিকে হিমালয় নন্দিনী অন্যদিকে বিদেশ ভ্রমণ এই দুই আকর্ষণে বাঙালি বারবার ছুটে গেছে ভুটানে । ডুয়ার্স কথাটা এসেছে মনে হয় ভুটানকে কেন্দ্র করেই । উত্তরবঙ্গের কতগুলো দরজা দিয়ে ভুটানে যাওয়া যায় তাকে কেন্দ্র করেই ডুয়ার্স ।  আজ আমরা ঝাঁ-চকচকে রাস্তা দিয়ে ভুটানের প্রবেশ করি । একসময় কি ছিল এই ভুটানে ? না ছিল রাস্তা , না ছিল গ