পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইতালির কলোসিয়াম

ছবি
ইতালির কলোসিয়াম  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । রোমের যে রাস্তায় আমি দাঁড়িয়ে আছি তার নাম পিয়াজা ভেনিজিয়া এটাই  রোমের মেন জংশন । পাশে সেন্ট মার্কের গির্জা,  পেছনে প্যালাজো ভেনিজিয়া,রোমের প্রথম রাজা ভিক্টর ইমমানুয়েল দ্বিতীয় স্মৃতির উদ্দেশ্যে রয়েছে বিরাট স্মৃতিভবন যার স্থাপত্যের  ধরনটা  টাইপরাইটারের মত । পাশের রাস্তা সোজা চলে গেলে হচ্ছে কলোসিয়াম। ডানদিকে ইন্সুরেন্স ভবন। ইন্সুরেন্স ভবন এর উল্টো দিকে রয়েছে মুসোলিনির বাড়ি। পৃথিবীর সব রাস্তায় নাকি এখানে এসে মিশেছে । একাই হেঁটে হেঁটে কলোসিয়ামের দিকে ঘুরছিলাম। খালি মনে পড়ছে নবম-দশম শ্রেণীতে পড়া রোম সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি? পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নিরোর লেক। এখন এক ধ্বংসাবশেষ, উঁচু উঁচু কিছু থাম আর অনেক দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ। রোমে আমার মনে হয় ইতিহাসের উপস্থিতির চেয়েও অনুভব বেশী। রোমান সাম্রাজ্যের অহং, উত্থান ও পতন, সৃষ্টি ও ধ্বংসের যা কিছু নিদর্শন সবই এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মানুষের শক্তির চেয়েও বেশী মহা শক্তিমান কালের শক্তি অনুভূত হয় রোমে। কনস্ট্যান্টাইনের তোরণ রোম  যেমন একদিনে তৈরি হয়নি তেমনি রোম  একদিনে দেখা অসম্ভব। বিখ্যাত কলো

সুইজারল্যান্ডের লুসর্নের সিংহ

ছবি
  সুইজারল্যান্ডের  লুসর্নের সিংহ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়  চ্যাপেল ব্রিজ সুইজারল্যান্ডে লুসর্ন শহরে রিউস নদী । এলাকাটা বেশ সুন্দর । দূরে আল্পসের হাতছানি । একটা বড় স্কয়ার ট্রাম গাড়ি যাচ্ছে বাস ।তার মধ্যে দিয়েই মানুষের চলাচল । বেশিরভাগ মানুষই পর্যটক । চারিপাশে বড় বড় বিল্ডিং  একপাশে সুইজব্যাঙ্ক । আর চারিপাশে সুইজারল্যান্ডের বড় বড় ঘড়ি কম্পানির শো রুম । সবাই কেনাকাটা করছেন । আমি কী করবো?একটু আইশ ক্রীম খেয়ে নদীর ধারে বসেও সময় কাটছে না ।  সময় কাটানোর জন্য  ঢুকে পড়লাম সাহস করে সুইজব্যাংকে । এতো নাম শুনেছি ! ঢুকতে ভয় লাগছে। ঢুকতেই একজন ঝা চকচকে ভদ্রমহিলা বলবেন ,  আপনার জন্য কী করতে পারি ? কী বলবো ? কী করতে পারেন ? বাংলায় বললাম শুনি বড় লোকরা কর ফাঁকি দিয়ে এখানে টাকা রাখে তাই দেখতে এলাম । what ? বাংলা শুনে কী বলবেন বুঝতে না পেরে বসতে বল্লেন ।  তারপর কথা বললাম , জানলাম কী ভাবে কী হয় । কী করে এখানে একাউন্ট খোলা যায় । এককাপ চা পেলাম ফ্রি তে । তারপর ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলতে গেলে কী কী লাগে সব আমায় দিলেন । পরিচয় হবার পর বল্লেন আপনি চ্যাপেল ব্রিজটা দেখেছেন ? বললাম না তো । সেটা আবার কী ? গেলাম দেখতে

ভেনিস প্রেমের শহর

ছবি
ভেনিস প্রেমের শহর বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥ প্রেমের শহর যত পড়ছি , যত দেখছি , যত শুনছি  কেমন একটা ভাবনা মাথার ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে । আর কোন দিন কী যেতে পারবো ভেনিসে? বিশ্বকরোনা মানচিত্রে তৃতীয় ওয়েব চলছে এখানে। কী ভাবে বর্ণনা করি তার মানবিক মুখ । সিটি অব লাভ  , কী শেষ হয়ে যাবে ? প্রেমের মৃত্যু নেই। প্রেম আবার ফিরে আসবে । যেভাবে বারবার ফিরে আসে ইটালিতে । প্লেগ , কালো ইঁদুরের থাবাও কিছু করতে পারিনি ইতালিকে । ১৯ জুলাই, ৬৪ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত বৃহদাকৃতির  অগ্নিকান্ড । এরফলে রোম নগরীর অধিকাংশ এলাকা আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। রোমান সাম্রাজ্যেরপঞ্চম এবং জুলিও-ক্লদিয়ান  রাজতন্ত্রের সর্বশেষ রোমান সম্রাট হিসেবে ছিলেন নিরো। টাসিটাসের মতে, এ অগ্নিকাণ্ডের জন্য নিরো খ্রিস্টানদেরকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু অনেক রোমান অধিবাসী মনে করেন যে, নিরো স্বয়ং ডোমাস অরেয়া স্বর্ণ ভবন নির্মাণে আগুন লাগানোর আদেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় নাকি নিরো প্রাসাদে বসে বেহালা বাজিয়ে ছিলেন ।           রবীন্দ্রনাথ যূরোপ প্রবাসী পত্রে ইটালি এসে লিখেছিলেন , ইটালি থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত  সমস্ত রাস্তা নির্ঝর নদী পর্বত গ্রাম হ্রদ দেখতে দেখতে

পিসার হেলানো মিনার

ছবি
পিসার হেলানো মিনার   বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।   যাচ্ছি পিসা । আমার এক সহযাত্রী বলবেন পিজা যাচ্ছি ? ভদ্রলোকের পদ্মাসমভূমি অঞ্চলের শিকড় ছিলো । এই কথা  শুনে আরো এক ভদ্রমহিলা বল্লেন , বামাপদ দা  পিজা খাওয়াবেন তো? আরে কেন খাবেন না , ইটালি এসেছেন পিজা তো খাবেন ? সারা বাস জুড়ে হাসাহাসির মাঝে বাস  দাঁড়িয়ে পড়লো । বললাম এসে গেছি । এখান থেকে লোকাল বাসে আমাদের যেতে হবে । পাঁচ মিনিটের  বাস পথ । এই পথে যাবার আগে সবাইকে বলে দিলাম পকেট, পাসপোর্ট  সাবধান । আর সাবধান এখানকার কালোমানুষ গুলোকে। এদের কাছে কোন কিছুর দর করবেন না । এরা পেটের দায়ে নাইজেরিয়া,  আফ্রিকার কোন দেশ থেকে এসেছেন। মূলত এরা ছাতা, ব্যাগ , বিভিন্ন ধরণের খেলনা বিক্রি করেন । মুশকিল হচ্ছে ভাষা । আর ইন্ডিয়ান মানুষদের কাছে এরা বিক্রি করতে চায় না । কেননা ইন্ডিয়ান মানুষ বড্ড বেশি বার্গেনিং করে । রেগে যায় সেখান থেকেই যত  বিপত্তি ।  পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের ভেতরে ছিলো পিসার লিনিং টাওয়ারের । ছোট বেলায় পড়া । কত মুখস্ত করেছি । কত ছবি  সেটা  দেখার একটা অন্য রকম অনুভূতি । প্রথমবার যখন আসি  বুকের ভেতরে একটা পেন্ডুলাম দুলছিল। দোলার কারণ ছিল । ভিনসেনজিও ভি