পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্রপ্রয়াগ

ছবি
  সুর ও স্বরের মিলনক্ষেত্র রুদ্রপ্রয়াগ  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥  যদি আমি বলি সূর আর স্বরের মিলনক্ষেত্র রুদ্রপ্রয়াগ ; তা হলে সকলেই আমাকে ধমক দেবেন । কেন ? আসলে ওটা তো মন্দাকিনী - অলকানন্দার মিলনস্থল । পঞ্চ প্রয়াগের একটি প্রয়াগ । সেখানে সুর আর স্বরের প্রবেশ ঘটলো কি করে ? ছন্দকে যে ভাবে ভাঙ্গা যায় সেভাবেই ভেঙে একটু বলি । রাগরাগিণীর সৃষ্টিকর্তা নারদ । ছয় রাগ  ছত্রিশ  রাগিনীকে তিনি সৃষ্টি করেন  । নানান শব্দে নারদ সকলকে অহংকারের  নিজস্ব রূপটাকে প্রকাশ করলেন । শিবের কাছে গেলেন , শিব তার অহংকার দেখে অভিশাপ দিয়ে রাগারাগিনী দের ধ্বংস করলেন ।  রুদ্রপ্রয়াগ । ছবি তাপস কুমার দত্ত  সৃষ্টির মৃত্যু ঘটলে নারদ ভেঙে পড়লেন । নটরাজের কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করলেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য । নটরাজ বললেন যাও,অলকানন্দা ও মন্দাকিনী সঙ্গমস্থলে গিয়ে তপস্যা করো কয়েক বছর ,তারপর ফিরে পাবে তাদের । আর সেটাই করলেন নারদ মুনি । সূর আর স্বরের মিলন ঘটলো রুদ্রপ্রয়াগে । প্রথমে বাঁচিয়ে তুললেন রাগদের । নারদ সংহিতায় বর্ণনা আছে, ছয় রাগ এবং ছত্রিশ রাগিণীর । রাগের চলন এবং তার অভিব্যক্তির উপর নির্ভর করেই,পুরুষ অর্থে

তুঙ্গনাথ

ছবি
  তুঙ্গনাথের পথে বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁরা কি জানে সে কি চায় ? তাঁরা  জানতো বলেই হয়তো অনেক কিছুই পেয়েছে । চাওয়া আর পাওয়ারা  মধ্যে একটা টান আছে । তবে বিশালতাকে ধরার জন্য যে টান দরকার তা আমার মধ্যে উপলব্ধিতে আছে,  ধরার ক্ষমতা নেই । টান আছে বলেই আমায় টেনে নিয়ে গেছেন । ধুতি পড়া একজন বাঙালি মানুষ । টুক টুক করে হেঁটে চলেছেন দোগলভিটার রাস্তায় । বাড়িটা তিনি  এখানেই করেছিলেন হিমালয়কে আরো নিবিড় ভাবে দেখার জন্য । ছোট বেলায় এই মানুষটার স্বপ্ন  দেখতাম । তিনি দোগলভিটার রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছেন , ওটা  চৌখাম্বা। পাশে শিবলিঙ্গ এই ভাবেই স্বপ্নে আমায় দেখাতেন ।  সেই মানুষটার নাম উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।হিমালয়ের পথে পথে পড়ে পড়ে মুখস্ত করে ফেলেছিলাম।সেটাই মনে মনে সারাদিন ভাবতাম আর সেটাই স্বপ্নে দেখতাম ।  হিমালয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল পাঁচ বছর বয়েসে । আর  হিমালয়কে হাতে ধরে আমায় চিনিয়ে ছিলেন আরো এক ধুতি পড়া মানুষ তাঁর নাম নিমাই অধিকারী । তিনি ছিলেন আমার বাবার বন্ধু ।  ছোট বেলায় লাইব্রেরীতে  আমাদের বেছে বেছে বই দিতেন। সেই মানুষটিই আমায় হিমালয় চিনিয়ে ছিলেন ।হিমালয়ের  কত অচেনা জায়গায় নিয়ে গেছেন । কি ভাবে দেখতে

লাল কাঁকড়া বীচ

ছবি
  লাল কাঁকড়ার ঘরে  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ॥ মন্দারমণি যাবার জন্য চাউল খোলা মোড়ের কাছে  দাঁড়িয়ে আছি । দীঘার থেকে প্রায় ২৪ ,কিমি আগে এই মোড়ে দাঁড়িয়ে পুজোর কটাদিন দেখলাম কী হারে গাড়ি যাচ্ছে আর আসছে । আমার অবশ্য মন্দারমণি যাবার ইচ্ছে নেই, কাছে পিঠে  যদি একটা নিরিবিলি বীচ পাওয়া যায় তা হলে নিজের সাথে নিজের একটু কথা বলা যায় ।কী কথাই বলবো । বাড়ি ফিরে মনে হবে বেশি কথা হলো ।লোকে বলবে মূর্খ বড়ো সামজিক নয় । কোথায় যাই? একজন বলেছিলো লাল কাঁকড়া বীচ গেলে আপনি একা থাকতে পারবেন । আমি মনকে বললাম চলো নিজ নিকেতনে । ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্য নিভে যাচ্ছে  চাউল খোলা থেকে একটা অটো নিলাম। ২০০ টাকা দিয়ে। মাত্র ৯ কিমি রাস্তা ২০০ টাকা! অগত্যা মধুসূদন ! ভাবি আমাদের গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি ।  মেদিনীপুরের লাল মাটি রূপ এখানে নেই। রাস্তার দুই ধারে পুকুরে  হাঁস চই চই । রোদে শুকাতে দেয়া হয়েছে শুটকি মাছ । মোড়ের মাথায় বাগদা আর গলদা চিংড়ির দোকান । এক জায়গায় লেখা রয়েছে বিভিন্ন রকম কাঁকড়া পাওয়া যায় । আমি তো সেভাবে ভেরি দেখতে পাচ্ছি না । ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই প্রকৃতি একটু পাল্টাতে শুরু করলো । একটা সমুদ্র সমুদ্র পরিবেশ