পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি
  বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়    গঙ্গার তীরে যদি শহর সে শহর তো সৌভাগ্যের শহর হবেই । মাটির একটা নিজস্ব গুণ থাকবেই । আমি পুজোর পর যে শহরে এসেছি তার নাম ভাগলপুর বিহারের একটি জেলা। ভাগলপুরকে বলা হয় সৌভাগ্যের শহর। সত্যিই আমার সৌভাগ্য যে আমি এই সৌভাগ্যের শহরে এসেচি । না এলে জানতেই পারতাম না এতো কিছু দেখার আছে । এক যাত্রায় দেখে নেওয়া যায় পাহাড়, জঙ্গল , নদী, ইতিহাস, মাইথলজি ।  মহাভারতের সময় গঙ্গার তীরে বুড়ানাথের প্রাচীন মন্দিরে পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের সময়ে এই মন্দিরে কিছু দিন অতিবাহিত করেছেন । ভাগলপুর জৈনদের পরম তীর্থ ক্ষেত্র । এই শহরে জন্ম গ্রহন করেন ১২ তম জৈন তীর্থঙ্কর বাসু পূজ। আমার চারদিন থাকার ভাবনা ভাগলপুরে । তারমধ্যে একদিন যাব প্রাচীন বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে । একদিন যাব মাইথলজির পথ ধরে মন্দার পর্বতে । বিক্রমশিলা খননকার্য পড়ে পাওয়া স্তুপ  বিহার ছিল এক সময় সংস্কৃতি ও শিক্ষার মূল পীঠস্থান ।বুদ্ধদেবের ধর্মীয় অনুরাগীরা বা পৃষ্ঠপোষক শিক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিলেন বিহারকে । প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় । বৌদ্ধ সংস্কৃতির পীঠস্থান । সেটা তৈরি হয়েছিল আজ থে

পুরুলিয়ায় দু'দিনের ভ্রমণ

ছবি
অচেনা পুরুলিয়ায়  দু'দিনের ভ্রমণ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়। একেই বলে রুচির সমগ্রতা ।একজন এসে  আমায় বললেন পুরুলিয়া যাচ্ছেন ? আমি বললাম হ্যা । তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছেন পুরুলিয়ার? আমি কিছু বলার আগেই তিনি বললেন পাখি পাহাড়,মুরগুমা ,আপার ড্যাম ,লোয়ার ড্যাম , সব দেখে আসবেন, খুব ভালো লাগবে । আমি আর কিছু বলতে পারলাম না । তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলাম । আমি যাচ্ছি নিস্তব্ধতার তরঙ্গে । কি করে তোকে বোঝাই আমি কিছুই দেখতে যাচ্ছি না । আমি যাচ্ছি নিজের সাথে কথা বলতে ।  পুরুলিয়ার সুন্দরবন  আকাশ জুড়ে আঁকাবাঁকা রঙিন আলোর রেখা ।আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে আসছে । একটু আগেই ঝমঝম করে বৃষ্টি হয়েছে রঘুনাথপুরে । জয়চন্ডী পাহাড় পেরিয়ে লেভেল ক্রসিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি । আরেকটু গেলেই আদ্রা  রেলওয়ে স্টেশন । সেখান থেকে যেতে হবে আমাদের কাশীপুরে । কাশিপুর রাজবাড়ি সকলের খুব পরিচিত জায়গা । এখান থেকে আরও ৭ কিলোমিটার যেতে হবে আমাদের । দ্বারকেশ্বর নদীর ব্রিজ পেরিয়ে যখন যাচ্ছি অন্ধকার নেমে এসেছে,কিন্তু কাশ ফুলের সাদা দোলা দেখা যাচ্ছে । আমরা যাচ্ছি রঞ্জনডি লেকে। যখন পৌঁছলাম ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতট

লায়ন সিটি : সিঙ্গাপুর

ছবি
  লায়ন সিটি : সিঙ্গাপুর বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় । সিঙ্গাপুর নামটা শুনলেই আমার মনটা ভয়ে গুটিয়ে যায় । আবার আনন্দ ও হয় । প্রথমবার সিঙ্গাপুরে গিয়ে আমার এক পিসিকে সিঙ্গাপুর বিমান বন্দরে হারিয়ে ফেলেছিলাম । ৮ ঘন্টা এয়ারপোর্টে বসে থাকার পর , তাকে খুঁজে পাওয়া গেল , আমাদেরই বুক করা হোটেলে গিয়ে । তিনি এয়ারপোর্টে  পথ হারিয়ে কাউকে না জানিয়ে একাই চলে গিয়ে ছিলেন হোটেলে । সে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ৮ ঘন্টা আমার সময় কেটেছে । সুখের কথা আবার পরের বার আমার হারিয়ে যাওয়া থাইল্যান্ডের বান্ধবী জুলিকে খুঁজে পেয়েছিলাম এই সিঙ্গাপুরের বাসস্ট্যান্ডে । সেও এক পরম প্রাপ্তি ।  সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান  ছোট্ট একটা দেশ সিঙ্গাপুর । অসম্ভব সময়ানুবর্তিতা । সুশৃংখল একটি দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে এই দেশটাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি প্রফেশনাল। কঠিন ইংরেজি বলে । লন্ডনে গিয়ে দেখেছি ব্রিটিশরা ও এত শক্ত ইংরেজি বলে না । সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গিয়ে সময় নিয়ে বাঙালির যে কি লেজে গোবরে অবস্থা হয় তার প্রমান আমি অনেকবার পেয়েছি । গাড়ি যদি সকাল সাত টায় রওনা হয় , হোটেলে সে গাড়ি চলে আসে সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে ।