পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দিউ

ছবি
  দিউ   বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমনাথ থেকে বেড়িয়ে দিউ এর দিকে যাচ্ছি। আমার এক  সহযাত্রী গাড়ির জানালা দিয়ে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন ওই দেখুন পাঁচ মাথা তাল গাছ। আমি ওনাকে কিছুতেই বোঝতে পারছি না ওটা তাল গাছ নয়। এই গাছ গুলো তাল গাছের মতো দেখতে হলেও এদের নাম হোকা। এই ধরনের গাছ আফ্রিকা থেকে এসেছে । পর্তুগিজরা এই গাছ এখানে লাগিয়েছিলেন । পরে ভুল ভাঙল দিউ এসে।  পাঁচ মাথা গাছ সমুদ্রে ঘেরা ছোট্ট একটি দ্বীপ দিউ। গুজরাট থেকে একে আলাদা করে চিহ্নিত করা খুবই মুশকিল। গুজরাটের মানচিত্রের নিচে এর অবস্থান। দিউ নামটি একা উচ্চারণ হয় না সঙ্গে যুক্ত হয় গোয়া-দমন। গোয়া যেমন পর্যটকদের কাছে খুবই চেনা নাম দিউ ততটাই অপরিচিত। গোয়া এবং দিউ-র পার্থক্য খুবই সামান্য। পার্থক্য অবস্থানের আর আয়তনের ৷ দিউ-র সী বিচে গোয়ার মতো মানুষ নেই, তবে রঙিন হয়ে আছে নাগোয়া বিচ । স্পিডবোর্ড চলছে । ওয়াটার স্কুটার চলছে । থাইল্যান্ডের ফুকেট এর মত সমুদ্রের মাঝে অস্থায়ী জেটি বানিয়ে  প্যারাসুট রাইডিং করাচ্ছে । শান্ত সী বিচে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ। প্রকৃতি একে নিজের মতো সাজিয়ে তুলেছেন। একদিকে নীল-শাদা সমুদ্রের জল আছড়ে পড়ছে পশ্চিমে, পূর্বদ

ওড়নি

ছবি
  লেক সিটির ওড়নি  বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়। উস্রি নদীর ঝর্না দেখতে যাব। দিনটা বড়ো বিশ্রী। আমি দিনটাকে একদম বিশ্রী বলতে পারছি না তবে খুব যে সুশ্রী সেটাও বলবো না । কুয়াশার পাতলা কম্বল ঢেকে রেখেচে  চারিদিক । ২০২২ জানুয়ারী মাস  কনকনে শীত তবে দস্তানার প্রয়োজন নেই । দিগন্তে  হালকা হালকা পাহাড়ের রেখা নাকি মনের ভুল , ঠিকমত বুঝতে পারছি না । গাড়ির কাঁচ বন্ধ । আমার সাথে চলছে পাতলা  মেঘেরা । আমায় সবাই বলেছিল ওড়নি দেখতে যাব। আমি শুনেছি উস্রি নদী  দেখতে যাব। আর ভাববো নাই বা কেন? উস্রি নদীর থেকে খুব দূরে তো নেই! এদিকে বিহারের বাঁকা আর ওপাশে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি। আবার কান পাতি। বলি আরেক বার বলো তো কি নাম জায়গাটার ? ও বুঝেছি ওড়নি। মানে চাদর । চাদরের বাঁধ দেখতে যাব। বাঁধ দেখার জন্য এতো দূর? ভাই দেবজ্যোতি কি দেখব বাঁধ? সুন্দরবনে অনেক বাঁধ দেখছি এখানে কিন্তু তোমরা আমায় জোর করেই নিয়ে চলেচ। কেউ জানে না সেটা কেমন বাঁধ! চলো মন  রূপ নিকেতনে। রসিক চলে রসের  খোজে। আমরা চলি বাঁধের খোজে।   মেঘ কুয়াশার মাঝে রাস্তার দু'পাশে হলুদের রেখা । সরষে বাগান গুলো মাঝে মাঝে পরিষ্কার হয়ে আবার ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে । সকাল সকাল যা