পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দারিং বাড়ির পথে

ছবি
  দারিং বাড়ির পথে  বামপদ গঙ্গোপাধ্যায় । দারিংবাড়ি যাচ্ছ আমার জন্য কি আনবে ? বড় কঠিন প্রশ্ন । কি আনব ? অনেকক্ষণ ভেবে বন্যকে বলেছিলাম তোমার জন্য পাহাড় আনব । সত্যিই  যদি একটা ভালো পাহাড় পাই , তাকে আমি উপহার দেব । রূপনারায়ন নদী যদি রুপাকে দিতে পারে হিমু, আমি কেন পাহাড় দিতে পারব না বন্যকে?  উপহারের কথাটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম । উড়িষ্যার ব্রহ্মপুর রেলস্টেশনে নেমে প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে যায় । ভাবি যাচ্ছি যখন দারিংবাড়ি তাহলে একটা সুন্দর পাহাড় তো আমি পাবই । এবার আমার চোখ থাকবে পাহাড় পানে ।   সুরাডা  হিঞ্জিলিকাট হঠাৎ একটা শব্দ হলো । আমাদের গাড়িটা একটু সাইড করে দাঁড়ালো । চালককে জিজ্ঞেস করি কি হলো ? গাড়ির মাথা থেকে মনে হয় ব্যাগ পরে গেল। বলেই সে দড়ি দিয়ে ব্যাগ বাধার জন্য গাড়ির মাথায় উঠে পরল । আমিও নেমে পড়ি গাড়ি থেকে । বুঝতে পারছিনা জায়গাটা কোথায় । যাচ্ছি দারিংবাড়ি দিকে । বেহরামপুর থেকে  অনেকটাই এসে পড়েছি । জায়গাটার নাম খোঁজার চেষ্টা করছি । উড়িষ্যায় এসে তো  আর বাংলা আশা করা যায় না? ইংরেজি খুঁজে খুঁজতে থাকি । লোককে জিজ্ঞেস করি জায়গাটার নাম কি ? একটি লোক বেশি অবাক পানে আমার

রাণী কী ভাভ

ছবি
রাণী কী ভাভ বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায়  "জনহীন প্রান্তরে প্রাকার ঘেরা দেবদেউল। মন্দিরের গায়ে মসৃণ স্তম্ভের আশেপাশে দিনের আলো, চাঁদের সুষমা মেখে দাঁড়িয়ে আছে তারা। দেবতা আছেন মন্দিরে, মন্দিরের বাইরে যৌবন সৌন্দর্যের অনন্ত সম্ভার। সুঠাম তনুদেহে লাবণ্যের জোয়ার। পীনোন্নত বক্ষে স্বচ্ছ উত্তরীয় হয়ত আছে, দেখা যায় না। প্রলম্বিত মুক্তোর মালাটি স্তন স্পর্শ করে লুটিয়ে পড়েছে সুগভীর নাভির ওপরে। বলয়-কাঁকন শোভিত মৃণাল বাহুদুটি দু কেউ রেখেছে সুবিন্যস্তভাবে, কেউ মালার মতো জড়িয়ে ধরতে চায় প্রিয়তমকে, কারোর হাতে দর্পণ কারোর হাতে পাখি, কারো বা করাঙ্গুলে ব্যঞ্জনাময় মুদ্রা। ক্ষীণ কটির তটে কারুকার্য করা চন্দ্রহার। নীবির বাঁধন শিথিল হয়ে গুরু শ্রোণীদেশ ঘিরে অধোবাস নেমে এসেছে নিটোল উরুর সীমা ছাড়িয়ে অচঞ্চল চরণপ্রান্তে। স্থির হলেও তাদের পায়ের নৃত্যের ভঙ্গি বিভ্রম ঘটাতে চায় । এখনি বুঝি ছন্দে তালে বেজে উঠবে নূপুর, অঙ্গে ফুটে উঠবে নতুন ভঙ্গি। সূক্ষ্ম বস্ত্রের ভাঁজেভাঁজে ফুটে উঠবে ইঙ্গিতময় দুটি চারটি রেখা । শুধু কি ঐ ভঙ্গিটুকু ? কাছে গেলেই চোখে পড়ে অপরূপ ছাদের কমনীয় মুখে যৌবনশ্রী । "  প্রতিটি স্

মধেরার সূর্য মন্দির

ছবি
মধেরার সূর্য মন্দির । বামাপদ গঙ্গোপাধ্যায় ।  মধেরার সূর্য মন্দির লেখার আগে আমি একবার পুরানের পথে হাঁটবো । যে পথটা দ্বারকার দিকে গেছে । মনুর কাল হিসাবে যদি বলি। হিসেবের কাল-বিন্দু আছে, সেটা যীশুর জন্মকাল, তাহলে পুরাণের কি কোন কাল-বিন্দু নেই? নেই। কিন্তু আদিবিন্দু আছে, সেটাকে বলা হচ্ছে মানব কল্পের আদিবিন্দু। স্বয়ম্ভর মনুকাল, পাঁচ হাজার ন’শো আটান্ন খ্রিষ্টপূর্ব। এই আদিবিন্দুর অতীতে আর কিছু নেই, থাকলেও তা ইতিবৃত্তে আসেনি। সেই সময় দ্বারকা কেমন ছিল আমি ধারনা করতে পারি না। হয়তো সোনায় মোড়া ছিল। যাই থাক শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন । ছিলেন শাম্ব।   শাম্ব হল শ্রীকৃষ্ণের পুত্র। পুরাণ মতে, শাম্ব পিতা কৃষ্ণের চেয়ে কোনো অংশেই কম রূপবান ছিলেন না । কাঞ্চনের চেয়ে  অধিক উজ্জ্বল বর্ণে পারিপার্শ্বিক সবকিছুই যেন প্রতিবিম্বিত হয়। তা সে কানন, কুঞ্জ, জলাশয়, আকাশ, পর্বত, নারী যাই হোক। তার আয়ত চোখে সবসময়  কামনার বহ্নি অনল প্রজ্বলিত হয় না, কিন্তু তার মুগ্ধ দৃষ্টিতে এমন চিত্ত জয়ী দুর্বার আকর্ষণ আছে, রমণী মাত্রই তার দর্শনে মিলন আকাঙ্ক্ষায় কাতর হয়ে উঠে। একদিন নারদ উপস্থিত হলেন দ্বারকায় । সেই সময় তিনি দেখলেন বর্ণাঢ্য ফু